মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে কক্সবাজারের টেকনাফে একটি বসতঘর থেকে ১৫ বাংলাদেশি ও ৭ রোহিঙ্গাসহ ২২ জনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি ও পুলিশ।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ার মৃত নাজির হোসেনের ছেলে জামাল হোসেনের বসতঘর তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের টেকনাফ সদর চৌকির গোয়েন্দা মাঠকর্মীর তথ্যের ভিত্তিতে, টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়া এলাকার মৃত নাজির হোসেনের ছেলে জামাল হোসেনের বসতঘর থেকে ১৫ জন বাংলাদেশি এবং সাতজন রোহিঙ্গা নাগরিকসহ ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য জড়ো করা হয়েছিল।
টেকনাফ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড ও নাইট্যংপাড়া এলাকার কাউন্সিলর দিল মোহাম্মাদ বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে বিজিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযানে জামাল হোসেনের বসতঘর থেকে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ২২জনকে উদ্ধার করেছে।
উদ্ধার হওয়া লোকজন জানান, বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের অজ্ঞাত দালালের যোগসাজশের মাধ্যমে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তাদের মালয়েশিয়া যাবার কথা ছিল।
ওসি আরও বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের বিষয়ে বিজিবির সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যপাড়ার এলাকার ফরিদ আলম, আব্দুল্লাহ, আব্দুল কাদের ও আব্দুল মান্নানের সমন্বয়ে একটি মানব পাচারকারী চক্র রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির ও বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন জড়ো করে মালয়েশিয়া মানব পাচার করে আসছিলেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখারের সরকারি মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার কল করা হলেও কলটি রিসিভ হয়নি