রফিকুল ইসলাম রাইসুল
কবিতা লিখতে ইচ্ছে করে না,
ভয় লাগে,বড্ড বড় ভয় লাগে।
যদি আমার কবিতা,
বিপ্লব ডাকে শোষিতদের মুক্তির,
তখন আমারোতো হয়তো হতে হবে
খুন বা ষড়যন্ত্রের শিকার।
যদি আমার কবিতা,
হৃদয়ভাঙা মানুষের বুকের দরবারে অবহেলার অাগুন জ্বলে ওঠে।
প্রতারকদের বিচ্ছিন্ন প্রতারিত চিহ্নের পাল্টা জবাব দিতে তুমুল ব্যস্ত হয়ে যাবে।
যদি আমার কবিতা,
একতাবদ্ধ করে সর্বহারা জনতাকে।
ফিলিস্তিন কিংবা মিয়ানমারসহ সকল গনহত্যার প্রতিবাদ জানাতে।
অহেতুক অজুহাতে,নানা সংঘাতে ক্ষমতাধর মোড়েলরা করতে পারে আমার জীবন সাদ্দাম বা গাদ্দাফির মতো অদৃশ্য।
তাই কবিতা লিখতে ভারী ভয় লাগে।
যদি আমার কবিতা,
কারো গোপন মহলে অাঘাত করে,কিংবা উন্মোচন করে দেয় কোন মুখোশধারী ষড়যন্ত্রের।
তখন আমারো তো হতে হবে জেল কবি নজরুলের মতো।
যদি কবিতা ছেড়ে রাজপথে নামি,
প্লেকার্ড বা বুলেট হাতে নিয়ে,
তখন অামারো তো হতে হবে ভাষাপ্রেমিক সালাম,বরকত,রফিকের মতো তাজা রক্তের লাশ।
খাঁচাবিহীন জেলখানায় বন্দী আমি,
অাশপাশ জুড়েই তীব্র ষড়যন্ত্রের গন্ধ নাকের ডগায় লাগে।
তাই কবিতা লিখতে বড় ভয় লাগে।
ভয়ানক ভয় লাগে।