ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করায় মৃত্যু বাড়ছে। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে অনেক রোগীর শরীরে মিলছে অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হওয়ার প্রমাণ। শিশুদের ক্ষেত্রেও ধরা পড়ছে বিষয়টি। যা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসকদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সতর্কতার পরও অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার না কমায় এমন পরিস্থিতি।
মিরপুরের বড়বাগের এই বাসায় শুধুই হাহাকার আর শূন্যতা। ২৬ বছরের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে খায়রুল আনাম অনন্তর মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না মা।
ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে গেল জুনে মারা যায় অনন্ত। চিকিৎসায় কোনো অ্যান্টিবায়োটিকই কাজ করেনি তার ক্ষেত্রে।
অনন্তর মা বলেন, ‘কত বড় ডাক্তার, বড় বড় হাসপাতালে গেলাম, কোনো ডাক্তারই সুস্থ করতে পারলো না ছেলেটাকে। কাজ করেনি কোনো অ্যান্টিবায়োটিক।’
৪৭ বছরের শহীদুল ইসলাম আহসানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাশের বিছানায় কাতরাচ্ছেন আরেক তরুণ। চিকিৎসকরা জানান, তাদের ক্যানসারের চিকিৎসা চললেও, শরীরে কাজ করছে না কোনো অ্যান্টিবায়োটিক। এতে কোনো সংক্রমণ দেখা দিলে, সম্ভব হচ্ছে না চিকিৎসা।
আহসানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতাল কনসালট্যান্ট ডা. এ যুবায়ের খান বলেন, ‘কম খরচের অ্যান্টিবায়োটিকে কাজ হচ্ছে না, অনেক ক্ষেত্রে লেটেস্ট অ্যান্টিবায়োটিকেও কাজ না করায় রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হলেও কমছে না অপব্যবহার। এজন্য অনেক রোগী মৃত্যু ঝুঁকিতে।’
শুধু তরুণ কিংবা বয়স্ক নয়, চিকিৎসকদের চিন্তিত করে তুলেছে শিশুদের ক্ষেত্রেও অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার বিষয়টি। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ৩ বছরের শিশু মানহার ঘটনাটি তেমনই। পরীক্ষায় জানা যায়, তার শরীরে কাজ করবে না প্রথম থেকে চতুর্থ কোনো প্রজন্মের অ্যান্টিবায়োটিকই