চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলমগীরকে মারধর করেছেন কক্সবাজার ৩ ( চকরিয়া- পেকুয়া) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য জাফর আলম ও তার অনুসারীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার বেলা ১ টায় চকরিয়া পৌরসভার এটিএম পার্কে পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনে ওই ঘটনা ঘটে।
আহত মোহাম্মদ আলম চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে।
সম্মেলনের কয়েকজন কাউন্সিলর বলেন, পৌর সম্মেলনে বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য জাফর আলমের সাথে কথা কাটাকাটি হয় মোহাম্মদ আলমগীরের। সেসময় সাংসদ জাফর অশ্লীল ভাষায় আলমগীরকে গালমন্দ করে ক্ষান্ত হননি। মঞ্চ থেকে নেমে তার অনুসারীদের নিয়ে হামলা করে । পরে দলীয় নেতাকর্মীরা আলমগীরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
আহত উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর বলেন, চকরিয়া পৌর আওয়ামীলীগের সম্মেলনে বক্তার তালিকায় আমার নাম ছিল। কিন্তু সাংসদ জাফর তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেয়। তখন আমি তার কাছে থেকে জানতে চায় আমাকে বাদ দেওয়ার কারন। তখন তিনি ( সাংসদ জাফর ) আমাকে বলেন সময় স্বলপতার কারণে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এর জবাবে আমি যখন তাকে বলে পৌর আওয়ামী লীগ উপজেলা আওয়ামী লীগের অধীনে। আমি উপজেলা নেতা। আমার এলাকার কাউন্সিল। এখান থেকে সময়ের অজুহাতে আমাকে বাদ দেওয়াটা কেমন দেখায়। একথায় বলায় তিনি আমাকে যাচ্ছে তাই ভাষায় গালমন্দ করেন। এর প্রতিবাদ জানালে তিনি ক্ষেপে গিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে তার দলবল নিয়ে আমার উপর হামলা করে।
কিন্তু সংসদ সদস্য জাফর আলম মুঠোফোন রিসিভ না করায় এবং ক্ষুদে বার্তার জবাব না দেওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি
তবে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবং চকরিয়া ও মাতামুহুরী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক টিম সদস্য রনজিৎ দাশ বলেন, এখানে সাংসদ জাফর কাওকে মারধর করেনি। উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার জন্য বাড়াবাড়ি করছিল । একসময় সেই নেতাই মঞ্চের সামনে এসে মারমুখী অবস্থান নেয়। পরে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে সরিয়ে দেয়। সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার