টঙ্গীর তুরাগ তীরে আখেরি মোনাজাতেরে মধ্য দিয়ে শেষ হল বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। রোববার (৪ জানুয়ারি) সকালে মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের। সকাল ৯টায় আখেরি মোনাজাত শুরু। এতে অংশ নিয়েছেন লাখ লাখ মুসল্লি।
মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হেদায়েত, ঐক্য, শান্তি, সমৃদ্ধি, ইহকাল ও পরকালের নাজাত এবং দ্বীনের দাওয়াত সর্বত্র পৌঁছে দেয়ার জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া সব ধরনের গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। মোনাজাতের সময় পুরো টঙ্গী এলাকা ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। তারা সবাই ইহলোকের মঙ্গল ও পরলোকের ক্ষমা প্রার্থনা করে সুখ ও সমৃদ্ধি চেয়েছেন।
এর আগে শেষ দিনে ফজরের পর থেকেই বয়ান আর জিকিরে মুখর ছিল ইজতেমা ময়দান। এদিন ফজরের নামাজের পর হেদায়েতের বয়ান করছেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। এরপর নসিহতমূলক কথা বলবেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ব ইজতেমায় আরও চার মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- রাজবাড়ী জেলার মো. সানোয়ার, চট্টগ্রামের মো. আলম, নরসিংদী জেলার মো. শাহনেওয়াজ ও সিরাজগঞ্জ জেলার আল মাহমুদ। এ নিয়ে ইজতেমায় ১৩ জনের মৃত্যু হলো।
ইজতেমা শেষে মুসল্লিদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মধ্যরাত থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস ও টঙ্গী স্টেশন রোড-কামারপাড়া পর্যন্ত সবধরণের যান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হবে। ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ইজতেমা।