মধ্যরাতে সবাই যখন গভীর ঘুমে ঠিক তখনই গার্মেন্টসের দোকানে আগুন লাগে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। সঙ্গে সঙ্গে দোকানের কাপড়গুলো দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে।
কিন্তু অলৌকিক ব্যাপার হলো- দোকানের ভেতরে রাখা পবিত্র কোরআন শরীফের কোনও ক্ষতি হয়নি। দোকানের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও কেবলমাত্র অক্ষত ছিল কোরআন শরীফটিই।
ভোলার চরফ্যাসন পৌর শহরের জনতা রোডে উত্তর কর্ণারের একটি গার্মেন্টসের দোকানে এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। অনেকেই কোরআন শরীফটির ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড দেন।
আগুন লাগার খবর পেয়ে চরফ্যাসন ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে প্রায় ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিন্তু অক্ষত ছিল শুধু আল্লাহর পবিত্র কোরআন শরীফ।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, মাঝরাতে আগুনের লেলিহান শিখা দেখার পর কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রায় ২০টি দোকান পুড়ে ভস্ম হয়ে যায়। কোরআন শরীফটির চারদিকে কিছুটা ক্ষতি হলেও অক্ষরগুলো অক্ষতই ছিল।
এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন কোরআন শরীফটি দেখতে ভিড় করেন। তারা বিশ্বাস করেন- পরম করুণাময় আল্লাহর অশেষ রহমতেই পবিত্র এ গ্রন্থটি আগুনের লেলিহান শিখা থেকে অক্ষত ছিল।
পাঠকের মতামত