নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নব-নির্মিত ভবন উদ্বোধন হচ্ছে আজ শুক্রবার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এমপি ৫ আগস্ট সকাল ১০টায় এটি উদ্বোধন করবেন। তিনি ৪ দিনের কক্সবাজার ও বান্দরবান সফরে বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজার এসে পৌঁছেছেন।
জানা যায়,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের বহিরগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অধীনে বিগত ২০০৯ সালের জুন মাসে
কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস যাত্রা শুরু করে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলার বিদেশ গমনেচ্ছুকদের জন্য হাতে লেখা পাসপোর্ট প্রদানের মাধ্যমে কাযর্ক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এটি ‘মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও ভিসা প্রকল্প’ ভুক্ত করা হয়। শুরু থেকেই কক্সবাজারের পাসপোর্ট প্রাপ্তির চাহিদা ছিল। ক্রমে বাড়তে থাকা এ চাহিদা মেঠাতে ধার করা ভবনে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। রাজস্ব আয় বাড়তে থাকায় তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হয় নিজস্ব ভবনের।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সুত্র জানায়, রাজস্ব আয় বাড়ায় ২০১২ সালের জানুয়ারীতে ১৯টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ প্রকল্পের কাজ অনুমোদন দেয় মন্ত্রনালয়। এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট ভবন নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাহারছরা গোলচত্তর মাঠের উত্তর পাশে তিন তলা বিশিষ্ট (প্রায় ৯৯৩৭ বর্গ ফুট) পাসপোর্ট অফিস ভবন নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে বহিরগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং গণপূর্ত বিভাগ। এ প্রকল্প শেষ হওয়ায় কথা চলতি ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে।
কিন্তু গত ২০১৫ সালে শুরু হওয়া নির্মাণ কাজ চলতি বছর মার্চ মাসে পুরোপুরি সম্পন্ন করে গণপূর্ত বিভাগ।
এদিকে, ভবনটির পরিপূর্ণ ভাবে বুঝিয়ে দেয়ার আগে আনুষ্টানিক উদ্বোধন ব্যতিরেখে গত ফেব্রুয়ারী মাস থেকে পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু করে দেন সাবেক ডিএডি শওকত কামাল। নানা অনিয়মের সুনির্দিষ্ঠ অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে ৫ জুন পটুয়াখালীতে বদলী করা হয়।
একইদিন সহকারী পরিচালক হিসেবে এখানে যোগদান করেন আবু নাঈম মাসুদ। তিনি এর আগে ঢাকা আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে এডি ( ড্যামু, আরআই শাখা) পদে নিয়োজিত ছিলেন। তার নেতৃত্বে আজ ৫ আগস্ট আনুষ্টানিক যাত্রা করছে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসটি।
পাঠকের মতামত