দিন শেষে রাত নামলেই সারা দেশে উদযাপন করা হবে পবিত্র শবে মেরাজ। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কাছে এ রাতের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদায় মুসলিম জাহানের সঙ্গে এ দেশের মুসলমানরা রাতে কোরআনখানি, নফল নামাজ, জিকির আসকার, ওয়াজ মাহফিল, দোয়া-দরুদ পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করবে।
মেরাজ শব্দটি আরবি, অর্থ ঊর্ধ্বারোহণ। বড়দাগে এর অর্থ দাঁড়ায়Ñ সপ্তম আসমান, সিদরাতুল মুনতাহা, জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন ও ধনুক কিংবা তার চেয়ে কম দূরত্ব পরিমাণ আল্লাহতায়ালার নৈকট্য পর্যন্ত ভ্রমণ। পারিভাষিক অর্থে নবুওয়াতের একাদশ সালের ২৭ রজবের বিশেষ রাতের শেষ প্রহরে হজরত জিবরাইলের (আ) সঙ্গে হজরত মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর নির্দেশে তার খাস রহমতে বায়তুল্লাহ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত ‘বোরাকে’ ভ্রমণ করেন। সেখান থেকে অলৌকিক সিঁড়ির মাধ্যমে সপ্তম আসমান পেরিয়ে আরশে আল্লাহর সান্নিধ্যে যান। আবার বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে বোরাকে করে প্রভাতের আগেই মক্কায় নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তন করেন হজরত মুহাম্মদ (সা)। আর এই পুরো সফরকেই মেরাজ বলা হয়।
মুহাম্মদ ছাড়া অন্য কোনো নবী ও রাসূল এই পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। এ মেরাজ রজনীতেই মানব জাতির শ্রেষ্ঠ এবাদত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়। আমাদের দেশে শবে মেরাজের দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।