ওবাইদুল হক চৌধুরী,সম্পাদক উখিয়া নিউজ ডটকম::
আজ শনিবার (২ সেপ্টেম্বর)। পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলমানদের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে দেশের মুসলমানরা এ উৎসব উদযাপন করবেন। মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের আশায় প্রায় চার হাজার বছর আগে হযরত ইব্রাহিম (আ.) তার পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি দেওয়ার উদ্যোগ নেন।
কিন্তু আল্লাহ তায়ালার অসীম কুদরত ও ইচ্ছায় হযরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। মূলত হযরত ইব্রাহিমের (আ.) এই ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি দিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন। ঈদের পরও দুই দিন অর্থাৎ জিলহজ মাসের ১১ ও ১২ তারিখেও পশু কোরবানি করার ধর্মীয় বিধান রয়েছে।
ইসলামের পরিভাষায় কোরবানি হলো- নির্দিষ্ট পশুকে একমাত্র আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে তাঁরই নামে জবেহ করা। মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে জবাই করা পশুর মাংস বা রক্ত কিছুই পৌঁছায় না, কেবল নিয়ত ছাড়া।
ঈদুল আজহার অন্যতম শিক্ষা হচ্ছে, মনের পশু অর্থাত্ কু-প্রবৃত্তিকে পরিত্যাগ করা। জাতীয় কবির ভাষায়ঃ মনের পশুরে কর জবাই, পশুরাও বাঁচে, বাঁচে সবাই..’। পবিত্র হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, প্রতি বছর জিলহজ মাসের দশ তারিখে বিশ্ব মুসলিম ময়দানে নামাজ আদায়ের পর যার যা সাধ্য ও পছন্দ সেই অনুযায়ী পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। আরবি ’আজহা ’এবং ’কোরবান’ উভয় শব্দের অর্থ হচ্ছে উৎসর্গ। কোরবানি শব্দের উৎপত্তিগত অর্থ হচ্ছে আত্মত্যাগ, আত্মোত্সর্গ, নিজেকে বিসর্জন, নৈকট্য লাভের চেষ্টা ও অতিশয় নিকটবর্তী হওয়া ইত্যাদি।
দিনটি উপলক্ষে দেশের সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করছে বিশেষ সংখ্যা। টেলিভিশন ও রেডিওতে সম্প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলোতে থাকছে সময়ের সব খবরসহ চমক জাগানিয়া বৈচিত্র্যময় আয়োজন। ঈদের দিনে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, কারাগার, শিশু সদন ও সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। আজ ঈদের নামাজ শেষে হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর মহান আত্মত্যাগের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় লাখ লাখ মুসলমান পশু কোরবানি করবেন।