সরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া নিউজ ডটকম::
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের মরিচ্যা যৌথ বাহিনীর চেকপোষ্টের দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যরা ১৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সাতক্ষীরা গামী টাটা ট্রাক (খুলনা মেট্রো-ট-১১-১৪৩০) তল্লাশী চালিয়ে ট্টাক চালকের সীটের নীচে অতি কৌশলে লুকিয়ে রাখা যে ৫১ হাজার ৮০০ পিস অথ্যৎ প্রায় দেড় কোটি টাকার ইয়াবা ইয়াবা উদ্ধার করেছে তা সোনারপাড়া এলাকার ছমি উদ্দিন সিন্ডিকেটের বলে জানা গেছে।এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনার পর থেকে অজানা আতংকে লাপাত্তা হয়ে গেছে ছমি উদ্দিন।
সুত্র জানায়,দীর্ঘদিন ধরে পোনা ব্যবসার আড়ালে ছমি উদ্দিন, জালাল উদ্দিন ও নুরু উদ্দিন তিন ভাই ইয়াবা বানিজ্য করে এখন কোটি টাকার মালিক।নামে বেনামে কিনেছেন একাধিক সম্পাদ।বিশেষ করে সাতক্ষীরা গামী পোনার ট্রাকে করে ইয়াবা পাচার করে যাচ্ছিল এ সিন্ডিকেট।বেশ কয়েকজন ট্রাক ড্রাইভারের সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে নিব্রিঘেœ চলছিল তাদের ব্যবসা।কিন্ত গত ১৫ সেপ্টেবর মরিচ্যা চেকপোষ্টে বিজিবির হাতে আটক হওয়ার পর ছমি উদ্দিন সিন্ডিকেটের নাম সামনে চলে আসে।আটককৃত খলিলুর রহমানের এক নিকটআত্বীয় নাম প্রকাশ করার শর্তে জানান,ছমি উদ্দিন সহ তার ভাই সিন্ডিকেটের ইয়াবা বহন করতে গিয়েই খলিলুর রহমান এখন মামলার আসামী।সে আরো জানায়,দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে ছমি উদ্দিন ও তার ভাইয়েরা পোনা ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।সোনারপাড়া এলাকার সবাই জানে ছমি উদ্দিন সহ তার ভাইদের ইয়াবা ব্যবসার কথা।কিন্ত মরিচ্যা চেকপোষ্টে পোনার ট্রাকে দেড় কোটি টাকার ইয়াবা সহ চালানী আটক হলেও রহস্যজনক কারনে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে ইয়াবার মালিক গড়ফাদার ছমি উদ্দিন সিন্ডিকেট।তবে ইয়াবা আটকের পর থেকে ছমি উদ্দিন গ্রেফতার আত্বগোপনে চলে গেেেছ।আত্বীয় স্বজনদের সাথেও সে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। ঐদিন সাতক্ষীরা গামী ট্রাক থেকে আটকৃতরা হলো,উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়া এলাকার মৃত-হামিদুর রহমানের ছেলে মোঃ সলিমুলাহ(৪৫),একই এলাকার মৃত-মাহমুদুর রহমানের ছেলে মোঃ খলিলুর রহমান(২৫), সাতক্ষীরা জেলার পাটকেল ঘাটা উপজেলার ইনু গাজীর ছেলে মোঃ আহসান উল্লাহ(২৮), এবং একই এলাকার মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ তরিকুল ইসলাম(২৫)।আটককৃত পাচারকারীদের বিজিবি রামু তানায সোপর্দ করেছে।রামু থানার ওসি প্রভাস চন্দ্র ধরে জানান,বিজিবির হাতে আটক ইয়াবা পাচারকারীদের জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।