বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্টে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে শনিবার দিনভর গোলাগুলি সংঘটিত হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে এলাকা ছাড়ছেন আমতলী সীমান্তের প্রায় ২ শতাধিক বাসিন্দা।
এদিকে এলাকা ছেড়ে পালানো বাসিন্দাদের আশ্রয় দিতে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে উপজেলা প্রশাসন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাইক্ষংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন। তিনি জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের আমতলী সীমান্তে গোলাগুলি শুরু হয়। তখন থেমে থেমে গুলিবর্ষণ চলতে থাকলেও মাগরিবের আগে মুহুর্মুহু গোলাগুলি হয়।
তিনি আরো জানান, হঠাৎ সীমান্তের এ অংশে গোলাগুলির আওয়াজ শুনে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অনেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে আসছে নিরাপদে। পরে তাদের জরুরি সেবা দেওয়ার জন্যে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে অস্থায়ী আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। তাদের জন্য সেখানে খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ৪৪ পিলার নিকটবর্তী আবদুর রহমান, মোহামাদ হাশেম ও সাহাব মিয়া জানান, আজ শনিবার সকাল ১১ টা ৪০ মিনিটে প্রথমে একে -৪৭ রাইফেলস এর ১ টি গুলির আওয়াজ শুনেন তারা। বেলা ১২ টা থেকে বৃষ্টির মতো ভারী অস্ত্রের গুলির আওয়াজ তাদেরকে তটস্থ করে তুলে। পরেশিশু ও নারীরা দ্বিগ্বিদিক পালিয়ে আশ্রয় নেয় স্বজনদের বাসা বাড়িতে।
তারা আরো জানান, প্রথমে তারা বাড়ি না ছাড়লেও বেলা ২ টার পর সীমান্তের কয়েকটি গ্রাম থেকে লোকজন নিজেদের গরু-ছাগল নিয়ে পালিযে এসেছে আমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকটি গুহাতে। পরে বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে লোকজন আশ্রয় নিচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন, এ ঘটনায় কিছু লোক সীমান্ত থেকে পালিয়ে আসার খবর পেয়ে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে ব্যবস্থা করা হয়েছে। অস্থায়ী আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে লোকজনকে শিবিরে নিয়ে আনার ব্যবস্থাও করছেন তারা
পাঠকের মতামত