সীমান্তে গোলাগুলি
আতঙ্কে শূন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গা সহ স্থানীয়রা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ হলেও। ২৮ আগস্ট রবিবার দুপুর থেকে সীমান্তের ও পাড়ে আরকান বিজিপির ঘাঁটি (ক্যাম্প) থেকে বিকট শব্দ শুরু হলে এ পাড়ে শূন্যরেখায় থাকা ৫ হাজার রোহিঙ্গাসহ, বাইশপাড়ি,উওর পাড়া, তুমব্রু, জলপাইতলী, ঘুমধুমে,ও নয়াপাড়ায় বসবাসরত সীমান্তের হাজারো এলাকাবাসী। সীমিত গুলাগুলির বিকট শব্দে এলাকা বাসি যখন দিক-বেদিক ছুটাছুটি করছিল তখন ২ টা ৪২ মিনিটের সময় ঘুমধুমের তুমব্রু উওর পাড়া মসজিদের সামনে এসে পড়েছে। ভারী অস্ত্র মটর’র গোলা নিক্ষেপ করে মায়ানমার সেনাবাহিনী। বর্তমানে উক্ত স্থানে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে, অপর দিকে ৫ হাজার রোহিঙ্গাসহ এলাকাবাসি রয়েছে আতঙ্কে। এলাকাবাসি জানান, মিয়ানমারের গুলির বিকট শব্দে কাঁপছে এপারও।
তাতে আতঙ্কে কোনারপাড়ার পার্শ্ববর্তী শূন্যরেখার (নো ম্যানস ল্যান্ড) আশ্রয়শিবিরে থাকা প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গ। ওপারের গোলাগুলির ঘটনা জিবিবি নজরদারিতে রাখলেও আজকের মটর গোলা নিক্ষেপে আতংক বিরাজ করছে সীমান্তে।
এই স্থান থেকে মিয়ানমার সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ১কিলোমিটার এত থেমে থেমে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে গোলাগুলি। শূন্যরেখার দিকে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরে প্রায় ৬শত টি পরিবারে প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গা আছে। গোলাগুলির শব্দে তারা বেশ আতঙ্কে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানা’র অধীনস্থ্য ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক সোহাগ রানা বলেন, কয়েক দিন ধরে মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি হচ্ছে। মর্টার শেলসহ গুলির শব্দ কানে বাজলেও বাস্তবে সেখানে কী হচ্ছে, বলা মুশকিল, তিনি আজকের বিষয়টি এড়িয়ে যান। শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নজরদারিতে কাঁটাতারের বাইরে পাহাড়চূড়ায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) একাধিক চৌকি স্থাপন করেন। বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তে ওদের বিচ্ছিন্নতাবাদি গোষ্ঠির সঙ্গে ঝামেলা চলছে। আমরাও বিষয়টা জেনেছি। যা কিছু ঘটছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে। আমরাও সতর্ক আছি।’
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তুমব্রু পয়েন্টে মর্টারশেল নিক্ষেপ হয়েছে কি না তা জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা আমরাও শুনেছি। এখন পর্যন্ত এই ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান আছে।’
পাঠকের মতামত