জ্যাকলিন মিথিলা আলোচনা আসার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করেছেন, কিন্তু সফল হননি। মূলধারার সংবাদপত্রে কখনোই শিরোনাম হতে পারেননি। চেষ্টা করেছিলেন। কয়েকটি গানের মডেল হয়েছিলেন, হয়েছিলেন পি এ কাজলের একটি আইটেম গার্ল। কিন্তু সেসব তাকে মিডিয়া হাইলাইট করে নি। মানসসম্মত কাজ ছিল না, এজন্যই শিরোনাম হতে পারেন নি। ফাইনালি তিনি নিজের জীবন দিয়ে মূলধারার গণমাধ্যমে শিরোনাম হলেন।
আলোচিত-সমালোচিত মডেল, ঢাকাই ছবির আইটেম কন্যা জ্যাকলিন মিথিলা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের বাড়িতে তিনি মধ্যরাতে গলায় ফাঁস দেন। পারিবারিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তার বাবা স্বপন শীল থানায় ডায়েরি করেছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, এই মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা হয়েছে- স্বামীর সঙ্গে তার ঝগড়া। মামলায় প্রকৃত নাম দেওয়া হয়েছে জয়া শিল, বয়স ২২ বছর।
পুলিশের এই কর্মকতা আরও বলেন, তিনি বিবাহিত ছিলেন। তার স্বামীর নাম উৎপল রায়। স্বামীর বাড়ি ফটিকছড়ি। স্বামীর সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া লাগতো। এই কারণে সে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে তাকে চিতায় পোড়ানো হয়েছে বলে জেনেছি।
মিথিলার বাবা স্বপন শীলও বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মিথিলা মারা গেছে। গলায় দড়ি দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। এর আগে সে ঘুমের বড়ি খেয়েছিল। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা এই মুহূর্তে বলতে চাচ্ছি না।
জ্যাকলিন জন্মেছেন এবং শৈশব কাটিয়েছেন ফেনীতে। তার পিতা স্বপন শীল পেশায় নাপিত। জ্যাকলিন কৈশোরের শুরুতে তিনি চট্টগ্রামে চলে আসেন এবং সেখানেই বড় হন। এরপর ঢাকায় এসে মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হন। কয়েকটি ছবিতে তিনি আইটেম গানে নেচেছেন। সর্বশেষ পিএ কাজল পরিচালিত ‘চোখের দেখা’ ছবির আইটেম গানে নাচেন তিনি।
খোলামেলা ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে এবং নিজেকে বাংলার সানি লিওন দাবি করা এ মডেলের ফেসবুক ওয়ালে ঢুকে আত্মহত্যা সম্পর্কিত দুটি স্ট্যাটাস পাওয়া যায়। একটি ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৪৯ মিনিটে দেওয়া। এতে তিনি লিখেন, 'কালকে আমি আত্মহত্যা করব। কেউ আমাকে প্রত্যাখান করে নাই। আমিও কাউকে প্রত্যাখান করি নাই। কিন্তু আমি আত্মহত্যা করব। ' আবার ৩১ জানুয়ারি সকাল ৭টা ২৮ মিনিটে লিখেন, 'ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে পা বাড়াচ্ছি। '