বাঙালির প্রাত্যহিক জীবনে চা একটি অন্যতম অপরিহার্য উপাদান। তবে এই চায়ে অনেক ধরণের মসলা ব্যবহার করা হয়। খন ই চায়ের স্বাদ আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। আর এই মসলার মাঝে সবার আগে নাম আসে আদার। সাধারণ সর্দি-কাশি, ঠান্ডায় ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে আদার ব্যবহার সুপ্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে।
আদার রস মিশ্রিত রং চা আমরা অনেকেই পান করি। কিন্তু এর গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা অবগত নই। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আদাতে প্রচুর ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম ও অন্যান্য খনিজ থাকে বলে শরীরের জন্য উপকারী। চলুন, জেনে নেয়া যাক আদা-চায়ের কিছু গুণের কথা:
১. শরীরের প্রদাহ কমায়:
আদাতে মানবদেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো খনিজ উপাদান যেমন- ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম উচ্চমাত্রায় রয়েছে। এগুলো একই সঙ্গে ব্যথানাশক হিসেবেও কাজ করে। তাই পেশি ও জয়েন্টের ব্যথা কমানোর জন্য এটি একটি উৎকৃষ্ট ঘরোয়া উপাদান। আদার চা পান করার পাশাপাশি ব্যথা কমাতে এটি শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টেও লাগাতে পারেন।
২. পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা বাড়ায়:
অনেক সময় খাওয়ার কারণে পেটে অস্বস্তি বা খারাপ লাগতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এক কাপ গরম আদা-চা খেয়ে নিন। সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাবেন। খাবার দ্রুত হজমেও সাহায্য হবে।
৩. রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়:
আদাতে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। এটি রক্ত সঞ্চালন-প্রক্রিয়া উন্নত করে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে। পাশাপাশি আদার রস ধমনিতে চর্বি জমতে বাধা দেয়। ফলে প্রতিদিন আদা চা পান করলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমবে।
৪. ক্যানসার বিরোধী উপাদান:
আদার মধ্যে রয়েছে প্রদাহরোধী ঔষধি গুণ। এটি ক্যানসার কোষের তৈরি প্রতিরোধ করে। আদা প্যানক্রিয়াটিক, কোলোরেক্টাল, প্রোস্টেট, ব্লাডার, লিভার ও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। আদার চা পানেও এই সুফল পাওয়া যায়।
৫. মানসিক চাপ কমায়:
আদার তীব্র নির্যাস মানসিক চাপ ও উত্তেজনা হ্রাস করতে সহায়তা করে। এটি খুব সহজে মাথা ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। সূত্র: বোল্ড স্কাই।