উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজারের টেকনাফ নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের আনসার ব্যারাকে হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় গ্রেফতার তিন আসামির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
আজ দুপুরে টেকনাফ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অরূন পাল তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে তিন আসামির প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টেকনাফ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ কবির হোসেন। আদালতে শুনানী শেষে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
রিমান্ড মঞ্জুরকৃত আসামিরা হলেন- মুচনি ক্যাম্পের ডি ব্লকের ৫ নং রুমের ৭২৯ নং সাইডের মৃত জালাল আহমদের ছেলে রফিক প্রকাশ মামুন মিয়া (৩০), ই-ব্লক ৯১৪ নং সাইডের ৩ নং রুমের মৃত বাছা আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২৫), সি ব্লকের ১৩ নং সাইডের ৩ নং রুমের মৃত ফজল আহমদের ছেলে মো. হারুন (৩০)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া তিন আসামি ছাড়া আরও দুই জনকে ৩০ জুন দিবাগত রাত আড়াইটায় উখিয়া কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে র্যাব-৭। এরা হলেন, ব্লকের ৯১৪ নং সাইডের ৩ নং রুমের মৃত বাছা আলীর ছেলে আবদুস সালাম (২৯) ও সি ব্লকের ৮৭৯ নং সাইডের ২ নং রুমের মৃত আমির হামজার ছেলে জয়নাল প্রকাশ জানে আলম (৫০)। এরা উচ্চ আদলতের জামিনে রয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টেকনাফ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ কবির হোসেন জানান, ১২ মে দিবাগত রাত দুইটার দিকে ডাকাতদল শালবাগান আনসার ক্যাম্পে হামলা চালায়। ডাকতদলের গুলিতে আনসার কমান্ডার আলী হোসেন (৫৫) নিহত হন। এ সময় ডাকাতরা আনসার ক্যাম্পের ১১টি অস্ত্র ও ৬৭০ রাউন্ড গুলি লুট করে নিয়ে যায়।
নিহত আনসার আলী হোসেন টাঙ্গাইল জেলার শফিপুর এলাকার মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় আনসার প্লাটুন কমান্ডার মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ জনের বিরুদ্ধে ১৩ মে টেকনাফ থানায় মামলা করেন।
এর আগে গত বছরের ১৫ মার্চ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ডাকাতদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দুই আনসার সদস্য আহত ও এক ডাকাত নিহত হন। নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরে প্রায় ১৯ হাজার রোহিঙ্গা বাস করে।
এদিকে আনসার ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া ১১টি অস্ত্র ও ৬৭০ রাউন্ড গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, লুটকৃত অস্ত্রসমূহ নিয়ে ডাকাতদলের সদস্যরা মিয়ানমার পাড়ি জমিয়েছেন।
– See more at: http://www.bd-pratidin.com/country/2016/07/12/156318#sthash.QsZhkRfZ.dpuf
পাঠকের মতামত