জাকার্তা থেকে প্রত্যাহার বাংলাদেশি কূটনীতিক কাজী আনারকলির বাসায় বিদেশি থাকার সত্যতা মেলেনি। তবে তাঁর কর্মকাণ্ড ছিল সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য আচরণবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, কাজী আনারকলি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রদূত ছিলেন।
ওই দেশটির মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ তাঁর বাসায় মাদক পাওয়ার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা তাঁকে ‘ডিটেনশন সেন্টারে’ আটক রাখা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে, তাঁর বাসায় নাইজেরিয়ার এক ব্যক্তি থাকতেন। তিনিও মাদকাসক্ত। এর পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজী আনারকলিকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় ফিরিয়ে আনে ও প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে তাঁর বহির্বাংলাদেশ ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি। বিশেষ করে মারিজুয়ানাসংক্রান্ত। আমাদের সরকারি কর্মচারীদের জন্য যে আচরণবিধি আছে, তার সঙ্গে এটি সাংঘর্ষিক। সুতরাং বিভাগীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা হয়তো আরো গভীরে যেতে পারব। ’
আনারকলির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি অন্য দেশে হয়েছে। একেক দেশে একেক রকম নিয়ম। একই ঘটনা যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রাজ্যে হয়, সেখানে এটি অবৈধ নয়। নেদারল্যান্ডসেও এটি অবৈধ নয়। এ পর্যন্ত আমরা সরকারি আচরণবিধির মাধ্যমে ঘটনাটি দেখার চেষ্টা করছি। ’
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘(আনারকলি) বাসায় বিদেশি থাকার কোনো সত্যতা আমরা পাইনি। ’