এম.এ রাহাত, উখিয়া
প্রকাশিত: ১৫/০২/২০২৫ ৯:৩৪ পিএম

শুধু একটা গণঅভ্যুত্থানে হাসিনার পতন হয়েছে বলেই সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে এসে যায়নি, ইসলাম বিজয়ী হয়ে যায়নি। এখনো নতুন নতুন ষড়যন্ত্র নিয়ে এ আন্দোলনের বিজয়কে নস্যাৎ করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। একের পর এক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। শ্রমিকদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, আনসার নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, শিক্ষকদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, ছাত্রদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, এক কলেজের সাথে আরেক কলেজের দ্বন্দ্ব লাগিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, এমনকি সমন্বয়কদের মাঝেও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে আমরা আমাদের কাঙ্খিত মঞ্জিলে পৌঁছাতে চায়। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন জালিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় সোনারপাড়া দাখিল মাদ্রাসা অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ২০২৫-২০২৬ সেশনের জন্য এম.জসিম উদ্দিনকে সভাপতি ও আবু বক্করকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে জালিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

নতুন কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উখিয়া উপজেলা সভাপতি মুহাম্মদ রিদুয়ানুল হক জিসান।

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন জালিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার সভাপতি এম.জসিম উদ্দিন বাবুলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলার সভাপতি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কক্সবাজার জেলার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কক্সবাজার জেলার সভাপতি শামশুল আলম বাহাদুর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, মালিক যখন শ্রমিকদের অধিকার দেয়না তখন শ্রমিক মালিকের জন্য আন্দোলন করে। শ্রমিকদের অধিকারকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। অন্য কোনো আদর্শ দিতে পারেনি। এক শ্রেণীর মানুষ শ্রমিক নেতা নাম দিয়ে শ্রমিকদের অধিকারের কথা বলে শোষণ করে কোটি টাকার মালিক হয়েছে। বিগত ৫৩ বছর যারা পালাক্রমে দেশকে শাসন করেছে তারা শ্রমিক তথা এদেশের মানুষের অধিকার তারা প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। এমন একটি বাংলাদেশ আমরা চাই, যে বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার আদায় হবে, শ্রমিকদের থেকে চাঁদা দাবি করতে পারবে না, শ্রমিকরা নিরাপদে থাকবে। আমরা যদি সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ পেতে চাই , তাহলে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমতায় নিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম ভাইকে এখনো মুক্তি দেয়া হয়নি। ফ্যাসিবাদের পতনের ৬ মাস হয়ে গেছে, অন্যান্য সকল দলের নেতাকে মুক্তি দেয়া হলেও আমাদের নেতাদের এখনো মুক্তি দেয়া হয়নি। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন এখনো ফিরিয়ে দেয়া হয়নি। জামায়াত নেতাদের মুক্তি ও দলের নিবন্ধন ফিরে পেতে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ঘোষণা এলে রাজধানী ঘেরাও করার ঘোষণা দেন তিনি।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে শামশুল আলম বাহাদুর বলেন, কেউ বলছে নির্বাচন দেন, কেউ বলছে সংস্কার করেন। বিএনপির বন্ধুরা সবাই কাপুরষ। ১৫ বছর তারা ঘর থেকে বের হতে পারেনি , আজকে নির্বাচনের জন্য পাগল হয়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত সকল চেয়ারে আওয়ামী দোসররা বসে আছে। এখন নির্বাচন দেয়া ঠিক হবে না। আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার তারপর নির্বাচন। আগে স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে, এরপরে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। লুটপাট,ডাকাত ও চাঁদাবাজমুক্ত দেশ চাইলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়ার আহবান জানান তিনি।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উখিয়া উপজেলার আমীর ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন উখিয়া উপজেলার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মাওলানা আবুল ফজল, উপদেষ্টা মাওলানা আব্দুর রহিম, কক্সবাজার জেলা সহ সেক্রেটারি ও উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক মুহাম্মাদ শাহজাহান , উখিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ রিদুয়ানুল হক জিশান, সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, জালিয়াপালং ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা হোসাইন আহমদ, উখিয়া উপজেলার সহসভাপতি সুলতান আহমদ, ইউপি সদস্য মাওলানা হাফেজ জালাল আহমদ সহ প্রমুখ।

সমাপনী সময়ে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হোসাইন আহমদ মাদানি। সম্মেলনে সঞ্চালনা করেন ,জালিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর।

পাঠকের মতামত

এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে কক্সবাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত ...