আপনি আপনার কন্যা সন্তানের কতটুকু খেয়াল রাখেন? একবারও কি তার পথচলা, আচরণ, বাইরে যাওয়া নিয়ে আপনি চিন্তিত হন? যদি আপনি এসব নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে আপনি সচেতন অভিভাবক। আপনি আপনার ছোট কিংবা কিশোরী বয়সের সন্তানকে নিয়ে যখন বাইরে বের হবেন, তখন আলাদা নজর রাখুন তার প্রতি।
আপনার একটু খেয়াল-ই পারে আপনার সন্তানের নিরাপত্তা দিতে। ছোট কন্যা সন্তানকে দেখে যদি কোন পুরুষ গায়ে পড়ে আদর করতে আসে, সহজে তাতে সায় দেবেন না। কারণ, এই গায়ে পড়া আদরের আড়ালে কোন খারাপ উদ্দেশ্যও থাকতে পারে।
আপনি কোন অনুষ্ঠানে গেলে কিশোরীকে নিশ্চিন্তে ছেড়ে দেবেন না। সেখানে নানা ধরণের মানুষ উপস্থিত থাকে। সবার মানসিকতা একই ধরণের না-ও হতে পারে। তাই ওই অনুষ্ঠানে নিজের সন্তানের প্রতি বাড়তি নজর রাখুন।
কন্যা সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন। তার সারাদিনের চলাফেরা নিয়ে কথা বলুন। তার কথার মাঝে কোন মিথ্যা আছে কিনা বুঝার চেষ্টা করুন। সে কার সাথে মিশছে কোথায় যাচ্ছে জানার চেষ্টা করুন। বাড়ির ড্রাইভারের সাথে একা ছেড়ে আপনি নিরাপদে থাকবেন না। কারণ হয়তো সেখানেও আপনার মেয়ে নিরাপদ না। সব সময় মেয়ের সাথে খোলামেলা আলোচনার করার চেষ্টা করুন। নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে কন্যাকে পাঠিয়ে আপনি অবশ্যই নিরাপদে থাকবেন না।
মেয়েকে নিয়ে মার্কেট বা কোন কোলাহলপূর্ণ জায়গায় গেলে তাকে আগলে রাখুন নিজের সাথে। এসব যায়গাতে মেয়েদের হয়রানি হবার সম্ভাবনা থাকে খুব বেশি। বর্তমান আমাদের আশপাশে খারাপ চেহারার মানুষের অভাব নাই। মেয়র সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখুন। যাতে যে কোনো হয়রানির কথা আপনাকে শেয়ার করতে পারে, মন খুলে বলতে পারে।
শুধু স্কুল বাস বা পাবলিক বাস-ই যেখানেই মেয়েকে পাঠাবেন, বাসায় ফেরার পর সময় করে তার কাছে থেকে সারাদিনের নানা ঘটনা মন খুলে শোনার চেষ্টা করুন। সুন্দর প্রশ্নের মাধ্যমে জানতে চেষ্টা করুন সব ঠিকঠাক আছে কিনা। সন্তানকে যদি বাড়ির বাইরে প্রাইভেটে পাঠাতে হয়, তবে সেখানে সে নিরাপদ কিনা জানার চেষ্টা করুন।
আরেফিন সোহাগ,
লেখক ও সাংবাদিক
মোবাইল: +৮৮০১৭৩১৬৬৪৬৬৬
ইমেইল: [email protected]
খোলা কলামে প্রকাশিত সব লেখা একান্তই লেখকের নিজস্ব মতামত। এর সাথে পত্রিকার কোন সম্পর্ক নেই।