মিয়ানমারে সরকারি ও বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে সংঘাতের আঁচ মিয়ানমারের সীমান্ত ছাপিয়ে বাংলাদেশে এসেও পড়েছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের এপারে আরপিজি এন্টি ট্যাংক গ্রেনেড এসে পড়েছে। তবে এতে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঘুমধুম সীমান্তের ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে গ্রেনেডটি এসে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক হোসেন জানান, গ্রেনেড এসে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা আতংকিত হয়ে পড়েছে। কারণ সোমবার মর্টারশেল পড়ে দুইজন নিহত হয়েছে। আমরা খুবই ভয়ে আছি।
জানা গেছে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি ঘিরে রাতভর গোলাগুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেঁপে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার অন্তত ১৩টি গ্রাম। সোমবার রাত ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত অনবরত গোলাগুলির শব্দে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে এপারের বাসিন্দারা।
আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে এ পর্যন্ত ১১৩ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে আছেন।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ।
পাঠকের মতামত