‘আমরা আর একসঙ্গে নেই। দুই মাস ধরে আলাদা বাসায় থাকছি। তবে একই শহরে। ময়মনসিংহে। আমাদের বাসার দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার।’
কথাগুলো ২ জানুয়ারি সকালে বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। প্রসঙ্গত, স্বামী নাজিমুজ্জামান জায়েদের সঙ্গে আর থাকছেন না এই সুকণ্ঠী।
বড় মেয়ে রোদেলা থাকছে ন্যান্সির সঙ্গে আর জায়েদের সঙ্গে থাকছে ছোট মেয়ে নায়লা। বললেন, ‘আমরা আলাদা আছি। দুজনেই ভালো আছি। আমাদের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। আমার বিশ্বাস, দুজনে সারা জীবন এমনই থাকবো, ডিভোর্স হবে না কখনও।’
আলাদা থাকার পরেও তাদের মধ্যকার চলমান সম্পর্ক বেশ স্বাভাবিক, যা ন্যান্সির বক্তব্যে বেশ স্পষ্ট। তবুও কেন নিজ সংসার থেকে বেরিয়ে তাদের এই ৫ কিলোমিটারের দূরত্বে যাওয়া!
জবাবে ন্যান্সি বলেন, ‘আমরা তো দুজন দুজনকে এখনও ভালোবাসি। ঠিকই বলেছেন, আমাদের আনুষ্ঠানিক দূরত্ব ৫ কিলোমিটারের। জায়েদকে এখন ফোন দিলে আমার কাছে আসতে লাগবে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট। আসলে, আমরা মানসিকভাবে দূরে সরে গেছি গেল দুই তিন বছর ধরে। মনে হচ্ছিল আমরা বুঝি ৬০ বছর বয়সী দম্পতি। দুজনেই সামাজিক-পারিবারিক নানাবিধ কাজে এতই ব্যস্ত, নিজেরা নিজেদের জন্য সময় বের করতে পারছিলাম না। অথচ বাস্তবে আমার বয়স ৩০ আর সংসারের বয়স মাত্র ৬ বছর। তো এসব ভেবেচিন্তে মাস দুয়েক আগে আমরা দুজনেই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিই। দুজনেই ভালো আছি, সম্ভবত।’
ন্যান্সি জানান, তার ঘরের বেশিরভাগ বাজারসদাই স্বামী জায়েদই করে দেন। মাঝে মাঝে বাসায় এসে রোদেলার খোঁজ নেন। কাল, ৩ জানুয়ারি ছোট মেয়ে নায়লার প্রথম স্কুল। তাই প্ল্যান করেছেন দুজনেই একসঙ্গে স্কুলে নিয়ে যাবেন নায়লাকে।
১৩ ডিসেম্বর রাতে তোলা ছবি, দুই কন্যাকে নিয়ে জায়েদ-ন্যান্সিতাহলে এই দূরত্বের কোনও সুরাহা হবে না? ন্যান্সি বললেন, ‘সুরাহা মানে যদি ডিভোর্স মিন করে থাকেন, তবে সেটা সম্ভবত হচ্ছে না। আগেই বলেছি, আমাদের ডিভোর্স হবে না। আর সুরাহা মানে যদি বলেন ৫ কিলোমিটারের দূরত্ব শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা- তো সেটা সময়সাপেক্ষ। তবে, আমার ধারণা সেটাও হবে না। বাকি জনম আমরা হয়তো এমনই থাকবো, একই মহল্লার বন্ধু হিসেবে।’
নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি ও নাজিমুজ্জামান জায়েদ ভালোবেসে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন ২০১৩ সালের ৪ মার্চ। তবে এবারের বিয়েবার্ষিকীর প্ল্যান নিয়ে এখনও কিছু ভাবেননি, জানালেন ন্যান্সি।