স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীকে সকল উপদেশ দিয়ে থাকেন। এই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার পরামর্শ শতভাগ কাজে লেগেছে। তিনি বলেছিলেন দিনবদলের পালা বদলে দিবেন বাংলাদেশের। আপনারা চোখ দুইটি যদি বন্ধ করেন, ১৫ বছর আগে আপনারা কী ছিলেন আর আজকে কোথায় এসেছেন? যদি সেই চিন্তা করেন তাহলে আর কিছু বলতে হবে না। সবাই মনে করবেন আমরা একটা অবস্থান থেকে বেহেশতের বাগানে প্রবেশ করেছি। আমরা সেই জায়গাটিতে পরিপূর্ণভাবে যাওয়ার জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী একক নেতৃত্ব দিয়েছেন।’
আজ শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার পৌর আধুনিক কমিউনিটি সেন্টারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলে তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসী না, আমরা কোনো পেশিশক্তির প্রতিবন্ধকতাকে বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের শক্তি। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। কে কী বলল এগুলোতে কোনো কাজ হবে না। বন্ধুদেশ আমাদের পাশে যেমন ছিল, তেমনি অনেক দেশ আমাদের ডুবিয়ে দেওয়ার জন্যও চেষ্টা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর খুনি কুলাঙ্গারদের একজন রয়েছে এই চান্দিনার। আমরা তাকে ধরার জন্য সারা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। যেখানেই থাকুক তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা কোনোক্রমেই আধুনিক টেকনোলজির অপব্যবহার করবেন না। সে জন্য আমাদের আইন রয়েছে, যারা অপব্যবহার করবেন তাদের আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে বলেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবেন, তখন অনেকেই হাসছিলেন। আজকে তার সুফল আমরা পাচ্ছি। আমরা ডিজিটালাইজড হয়েছি বলে সারা পৃথিবীতে একটা অবস্থান নিয়েছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তুলতে হবে, স্মার্ট ইকোনমিক, স্মার্ট সিটিজেন প্রয়োজন। আর স্মার্ট ইকোনমিক গড়ে তুলতে অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মতো বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসকও গড়ে তুলতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপির সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মু. রুহুল আমিন, চান্দিনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন বকশী।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় চান্দিনা উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে মন্ত্রীকে সস্ত্রীক ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে পৌরসভা পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে অপেক্ষারত নেতাকর্মীরা ফুল ছিটিয়ে সম্মান জানান।