রোহিঙ্গা’ ছবির সঙ্গে যুক্ত হলেন কিভাবে?
এফডিসিতে একদিন গল্পে গল্পে অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড ভাই বললেন, নতুন ছবি নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। একটা চরিত্র আছে, আমি চাইলে করতে পারব। গল্পটা শুনে মনে হয়েছে কাজটা করা উচিত। আমার আগের দুটি ছবি ‘বাজে ছেলে’ ও ‘রিয়েলম্যান’ ছিল পুরো বাণিজ্যিক ঘরানার। এই ছবিটি একেবারেই বিপরীত। সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে। নামমাত্র পারিশ্রমিকে ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম।
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?
২০১৭ সালে শুটিং শুরু করি। উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প, নাফ নদের আশপাশ, টেকনাফ ও গাজীপুরের জঙ্গলে হয়েছে শুটিং। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যখন শুটিং করি তখন একজন ত্রাণ দিতে এসে আমাকে রোহিঙ্গা ভেবে ত্রাণ দিয়েছিল, ২০ টাকার একটা নোট। তখনই মনে হয়েছে আমি ছবির চরিত্র ‘আসিয়া’ হতে পেরেছি। ছবিটা দেখলে দর্শক বুঝতে পারবে আমরা কতটা কষ্ট করেছি।
অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের আগের ছবিগুলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে। এই ছবি কি ধারাবাহিকতা রাখতে পারবে?
আমার বিশ্বাস, এই ছবিটিও একাধিক শাখায় পুরস্কার পাবে। আমি নিজেকে নিয়েও আশাবাদী। ডায়মন্ড ভাই অসাধারণ পরিচালক। ছবির প্রতি তাঁর যে ভালোবাসা তার প্রতিদান তো আশা করাই যায়।
নতুন কী ছবি করছেন?
পারিবারিক কারণে দুই মাস কাজ করব না। জানুয়ারি থেকে শাহীন সুমন ও মেহেদী হাসানের নাম ঠিক না হওয়া ছবিতে অভিনয় করব।
ওয়েবে কাজ করছেন না কেন?
আমি আসলে ওয়েব সিরিজ বা ওয়েব ছবির বিষয়টা এখনো বুঝে উঠতে পারিনি। দর্শক এই মাধ্যমে কী ধরনের গল্প দেখতে চায়, কোন ধরনের চরিত্রে আমার অভিনয় করা উচিত—এসব নিয়ে ভাবছি।
হয়তো আরো সময় লাগবে।