বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আমাদের নাম ব্যবহার করে অনেক জায়গায় চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। স্বাক্ষর নকল করে মামলা দেওয়া হচ্ছে। এগুলোর সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। সেখানে গিয়ে দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা। পরে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা খবর পাচ্ছি আমাদের নাম ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের আইনগত কোনো এখতিয়ার নেই, কাউকে সুবিধা দেওয়ার বা নিজেরা সুবিধার নেওয়ার।
দুদক তাদের আইন অনুযায়ী চলবে মন্তব্য করে তিনি জানান, তাদের (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন) নাম ব্যবহার করে কেউ যাতে অসাধু উপায়ে কোনো সুবিধা নিতে না পারেন, এই বিষয়টি স্পষ্ট করতে দুদকে এসেছেন।
সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমরা দুদককে বলেছি গত ১৬ বছর এই ফ্যাসিস্ট সরকার যাদের পছন্দ হয়নি, তাদের মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। কারও পরিবার নিয়ে সমস্যা হয়েছে, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, কারও জমি জমা নিয়ে সমস্যা হয়েছে, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আর যেন এমন না হয়, সেটিই বলেছি। আর যেন কোনো রাজনৈতিক দল মিথ্যে মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করতে না পারে, সেই বিষয়টি বলেছি।
এদিকে, দুপুরে দুদক কার্যালয়ের সামনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কয়েকজন।
পাঠকের মতামত