নিউজ ডেস্ক::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার বাসায় আমি আর রেহানা ছাড়া কেউ পত্রিকা পড়ে না। বাসার ছেলে-মেয়ে সবাই মোবাইলে, নেটপ্যাড ব্যবহার করে অনলাইনে সব সংবাদ দেখে নেয়।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার ইফতার মাহফিল শেষে সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ যৌথভাবে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে।
প্রায় ১ ঘণ্টা সাংবাদিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের গঠনমূলক সমালোচনার পাশাপাশি দায়িত্বশীলতা পালনের অনুরোধ করেন।
সভায় অনলাইন নীতিমালা এবং সংবাদপত্র, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার জন্যে স্বতন্ত্র ওয়েজবোর্ড করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সাংবাদিক নেতারা মালিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের জন্যে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক নেতাদের আশ্বস্ত করে বলেন, নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের পাশাপাশি সংবাদপত্র, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার জন্যে স্বতন্ত্র ওয়েজবোর্ড করা হবে। অনলাইন নীতিমালাও করা হবে।
এ সময় অতীতে জয়ের বিরুদ্ধে এফবিআই অফিসারকে ঘুষ দিয়ে কিনে নিয়ে খতম করার ষড়যন্ত্রের বিষয়টিও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সবসময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। পাশাপাশি গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতাও আশা করি। আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করে দিতে চাই। সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট করেছি, অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করেছি। একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নীতিমালা নয়।’
এ সময় সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনটি দাবি জানান। দাবিগুলো হলো— সাংবাদিকদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা করা, নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করা ও সমবায় সমিতি শক্তিশালী করা।
এ সব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নবম ওয়েজবোর্ডের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমি তথ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি। আর আমি তো এখানে এসে এর আগেও আপনাদের বলেছি যে, আপনারা জায়গা খুঁজে বের করেন, আপনারা জায়গা খুঁজে না পেলে আমি কী করবো?’
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, বিএফইউজের (একাংশ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাফর ওয়াজেদ, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, ডিইউজের (একাংশ) সভাপতি শাবান মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী।
(দ্য রিপোর্ট