আরএসওর অনুরোধে এবার দীর্ঘ একযুগ বন্ধ থাকা একটি মসজিদ খুলে দিয়েছে মিয়ানমার জান্তা সরকার।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে আরকান আর্মি ও জান্তা সরকারের মধ্যে সংঘাত চলছে। সংঘাতের মাঝেই আরাকানে বেশ কয়েকটি মসজিদ ও স্থাপনা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ করে রেখেছিলো জান্তা সরকার। আরাকানে সংঘাতের কারণে যে সকল মসজিদ বন্ধ করেছিলো, সে সকল মসজিদ ও স্থাপনা আরএসও এর রাজনৈতিক কৌশল ও অনুরোধে উন্মুক্ত করে দিচ্ছে জান্তা সরকার।
গত ১২-১৩ মে আরএসও এর উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম মিয়ানমার সফরকালে জান্তা সরকারের রিজিওনাল কমান্ডারকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন আরকানের মংডু শহরের বড় মসজিদটি যাতে খুলে দিয়ে রোহিঙ্গাদের নামাজ আদায়ের সুযোগ করে দেয়। তখন জান্তা সরকারের কমান্ডার মসজিদটি খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার একদিন পর ১৪ মে মঙ্গলবার মংডু শহরের বড় মসজিদটি ফজরের সময় রোহিঙ্গাদের জন্যে উন্মুক্ত করে দেয় জান্তা সরকার। মসজিদটি ২০১২ সাল থেকে বন্ধ ছিলো ! এই যুগান্তকারী পদক্ষেপের মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও ন্যায্য অধিকার আদায়ের পথ সুদৃঢ় হচ্ছে দিন দিন।
এতে করে বাংলাদেশের কক্সবাজারে স্থাপিত বিশ্বের বৃহত্তম শরনার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গারাও স্বপ্ন দেখছে তাদের মর্যাদাপূর্ন প্রত্যাবাসনের।
এছাড়াও মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে
রোহিঙ্গাদের পক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম ও মিয়ানমার জান্তা সরকারের সাথে শান্তিপূর্ণ আলোচনা ও রাজনৈতিক কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকার আদায় ও প্রত্যাবাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে আরএসও।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সাধারণ রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক আরাকান আর্মিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে আরকান স্বাধীনের নামে কথিত যুদ্ধে নামিয়ে দিচ্ছে সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি। সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে রাখাইন সম্প্রদায়কে উস্কিয়ে দিয়ে সংঘাত বৃদ্ধির অপচেষ্টা করছে আরাকান আর্মি নামের যুদ্ধবাজ সংগঠন। সংঘাতে জড়ানোর জন্যে নানান অপকৌশল ব্যবহার করছে সাধারণ রোহিঙ্গাদের। ২০১৭ সালের মতোন আরাকানে সংঘাত সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদেরকে ফের বাংলাদেশে পাঠানোর গভীর ষড়যন্ত্র করছে আরাকান আর্মি।
এদের বিপরীতে রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন ও রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকার আদায়ে কাজ করছে আরএসও।
দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পর মসজিদে নামাজ আদায় করতে পেরে মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া এবং আরএসও এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ রোহিঙ্গারা। সৌজন্যে : টিটিএন