রূপপুরের পর আরও কয়েকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে চায় বাংলাদেশ। যার মাধ্যমে মোট চাহিদার ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। তবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শতভাগ শেষ না হলে নতুন কোনো কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু করা হবে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার ৬৬তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অবস্থান করছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অধিবেশনের প্ল্যানারি সেশনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এসময় দেশে নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে ইয়াফেস ওসমান বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে বাইরে কাজ করে এসেছেন, এমন এক্সপার্ট আমাদের নেই বললেই চলে, জিরো ইউনিট বলতে গেলে। আমরা আমাদের ছেলেগুলোকে ওইভাবে ট্রেইন করে নিচ্ছি। এটা একটা বিশাল প্রজেক্টের ব্যাপার।
চলমান রূপপুর প্রকল্প শেষ না হলে নতুন কোনো প্রকল্প নেয়া যুক্তিসঙ্গত হবে না। তবে জ্বালানি নিয়ে সরকার ইতোমধ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করে ফেলেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের এনার্জি প্ল্যানিং তো করেই ফেলেছি। সেখানে আজ দেখলাম, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রতিনিধিদের কয়েকজন বললেন, তারাও ১০ শতাংশ নিউক্লিয়ারে যেতে চায়। আমরাও তাই চাই। আমাদের ১০ শতাংশ এনার্জি আসবে নিউক্লিয়ার থেকে। আর জ্বালানির ১০ শতাংশ যদি পরমাণু থেকে আনতে হয় তার জন্য আরও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
ইয়াফেস ওসমান বলেন, সেটা করতে হলে আমাদের আরও কয়েকটা কেন্দ্র করতে হবে। একটা জায়গা আমরা দেখছি দক্ষিণের দিকে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা। আর পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে আরও দুটো করার মতো সুযোগ আছে।
এরপর আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ৬৬৩ম অধিবেশনের প্ল্যানারি সেশনে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি বলেন, পারমাণবিক প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে একটি উন্নত বিশ্বের জন্য সংস্থাটির আদেশ ও কার্যক্রমের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি।