বিশ্ব ডেস্ক::মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছে ‘আল অ্যাকিন’ নামে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের একটি সংগঠন। ভিডিওতে নিজেদের ভাষায় ‘আরাকান রক্ষায়’ রোহিঙ্গাদের ঝাপিয়ে পড়ার আহ্বান জানায় তারা।
বিজিপি ক্যাম্পে হামলার পর কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংগঠনটির কয়েকটি ভিডিও বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম ভিডিও বার্তায় সংগঠনের নেতা আরাকানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে দাবি করে রোহিঙ্গাদের ঘরে বসে না থেকে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার আহবান জানায়।
এ সময় একটি পাহাড়ি এলাকায় অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ১৫-২০ জনের একটি তরুণ রোহিঙ্গা দলকে তার পেছনে দেখা যায়। আরও দুইটি ভিডিও বার্তায় নিজেদের ভাষায় ‘আরাকান রক্ষার’ ডাক দেয় তারা।
সর্বশেষ ভিডিও বার্তায় তারা নিজেদের আল অ্যাকিন নামে একটি সংগঠনের সদস্য দাবি করে। ভিডিওতে নেতার নেতৃত্বে প্রায় ৩ শতাধিক রোহিঙ্গা যুবককে অজানা পথে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। নেতার প্রধান সহযোগী হিসেবে মুফতি জিয়াউর রহমান নামে একজনের উল্লেখ করা হলেও প্রধান নেতার নাম প্রকাশ করেনি তারা।
একটি সূত্র জানায়, আরাকানের স্বশস্ত্র দলটির নেতৃত্বে রয়েছে হামজা নামে এক ব্যক্তি। তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। পরে সেখান থেকে আরও কয়েকজন সহযোগীসহ মাস ছয়েক আগে আরাকানে প্রবেশ করেন। এছাড়া মৌলভী আবুল কালাম নামে তাদের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন বলে সূত্র জানায়।
সূত্র আরও জানায়, কিছুদিন আগে আল অ্যাকিন সংগঠনটি আরাকানে আত্মপ্রকাশ করে।
৯ অক্টোবর আরাকান রাজ্যের মংডু এলাকায় কাউয়ারবিল টেনেসুট, নাগফুরা ও কোডেংগাওসহ ৩টি বিজিপি ক্যাম্পে একযোগে হামলার ঘটনায় ঘটে।
এ সময় হত্যা করা হয় ৯ বিজিপি সদস্যকে। লুট করা হয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ।
এরপর থেকে আরাকান রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সেনা সদস্যদের সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলে আসছে।
সূত্রঃ যুগান্তর
পাঠকের মতামত