মৌসুমজুড়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দাপট দেখিয়েও পা হড়কে যায় আর্সেনালের। মূলত তখনই চলতি আসরের শিরোপা ম্যানচেস্টার সিটির নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। আর্সেনালের সেই হতাশার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে নটিংহ্যাম ফরেস্ট। সফরকারী হয়ে মাঠে নেমে ১-০ গোলে হেরে গেল মাইকেল আর্তেতার দল। এতে তিন ম্যাচ হাতে রেখেই ম্যানসিটির শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেছে।
অথচ মৌসুমের শুরু থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছিল আর্সেনাল, ড্র করেছিল দুটি। লিগ টেবিলে এক পর্যায়ে তারা দুই নম্বর দলের থেকে এগিয়ে গিয়েছিল ৮ পয়েন্টে। সেখান থেকে শুরু হয় তাদের হতাশার মুহূর্ত। গত ফেব্রুয়ারিতে টানা তিন ম্যাচে জয়হীন যাত্রায় দুটিতে হারে ও একটি ড্র করে। অবশ্য টানা সাত জয়ে সেই ধাক্কাও কাটিয়ে উঠেছিল তারা; কিন্তু এরপর আবার টানা চার ম্যাচ জয়শূন্য (তিন ড্র ও এক হার) এবং এবারের টানা দুই হারে সব শেষ হয়ে গেল।
নটিংহ্যামের মাঠে বল দখলে একচেটিয়া আধিপত্য ধরে রাখার মাঝেই ১৯তম মিনিটে গোল খেয়ে বসে আর্সেনাল। নটিংহ্যাম মিডফিল্ডার গিবস-হোয়াইটের বাড়ানো থ্রু পাস ক্লিয়ার করার চেষ্টায় স্লাইড করেন আর্সেনাল ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল। কিন্তু বল চলে যায় নটিংহ্যামের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড তাইয়ো আয়োনির পায়ে, তারপর অনিয়ন্ত্রিত বলটি চলে যায় গোললাইন পেরিয়ে।
এরপর ৬১তম মিনিটে ভালো একটা সুযোগ তৈরি করে আর্সেনাল। তবে ডি-বক্সে ঢুকে ডান দিক থেকে বুকায়ো সাকা জোরালো শট নিলেও গোলরক্ষকের নাগালের বাইরে নিতে পারেননি। ৭২তম মিনিটে রেনান লোদির শট পাশের জাল কাঁপালে সে যাত্রায় বেঁচে যায় সফরকারীরা। বাকি সময়ে আর্সেনাল আর কোনো সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি। পুরো ম্যাচেই তাদের আক্রমণভাগের পারফরম্যান্স ছিল বিবর্ণ। ৮০ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখেও প্রতিপক্ষকে খুব বেশি পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি।
এই নিয়ে টানা তৃতীয়বার এবং ছয় মৌসুমের মধ্যে পাঁচবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হলো ম্যানচেস্টার সিটি। এর সবগুলোই পেপ গার্দিওলার কোচিংয়ে। ৩৫ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন সিটির পয়েন্ট ৮৫। দুই ম্যাচ বেশি খেলে আর্সেনালের পয়েন্ট ৮১।
আর্তেতার দলের বিপক্ষে স্মরণীয় জয়ে অবনমনের শঙ্কা এড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগে টিকে গেল নটিংহ্যাম ফরেস্ট। ৩৭ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান ১৬ নম্বরে।