স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আর কোনো রোহিঙ্গা কিংবা মিয়ানমারের অন্য নাগরিককে দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ক্যাম্পে অস্ত্রের ঝনঝনানি, বিভিন্ন দল উপদলে বিভক্ত হয়েছে তারা। তাদের নিয়ন্ত্রণে বিজিবি, এপিবিএন এবং সেনাবাহিনীও কাজ করছে।
তিনি বলেন, আমাদের মূল বিষয়টি হলো খুনখারাবি ও রক্তপাত বন্ধ করা। কোনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাত সাড়ে ৮টায় কক্সবাজার হিলটপ সার্কিট হাউজে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, এপিবিএনের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রাখাইনে বাড়ছে সংঘাত, ফের বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন রোহিঙ্গারা
হত্যা-শিরশ্ছেদের আতঙ্কে রাখাইন ছেড়ে পালিয়েছে আরও ৪৫০০০ রোহিঙ্গা
বিজ্ঞাপন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নাফ নদী আর নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত অরক্ষিত হওয়ায় এসব পথে রোহিঙ্গারা এসেছে। নষ্ট, অরক্ষিত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় এক বক্তব্যে সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, দেশি বিদেশি কোনো সংস্থা যেন রোহিঙ্গাদের প্রলুব্ধ করতে না পারে সে বিষয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে। নতুন করে যেন কোনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে বিজিবিকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।