ওবাইদুল হক চৌধুরী,উখিয়া নিউজ ডটকম::
আজ সোমবার পহেলা ফাল্গুন। বসন্তের প্রথম দিন। খ্যাতিমান কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত’। আবহমান বাংলার ঋতু বৈচিত্র্যের উল্লেখযোগ্য ঋতু বসন্ত। তাই এ ঋতুকে বলা হয় ঋতু রাজ। প্রকৃতিতে শুরু হবে আজ থেকে ভিন্ন আবহ। শীতকে বিদায় জানিয়ে ঋতু রাজ বসন্তের আগমনকে শুভেচ্ছা জানাতে রক্ত লাল পলাশ ফুটেছে গাছে গাছে। বসন্তের আগমনে প্রকৃতিও সেজেছে নতুনরূপে। কোকিলের কুহু কুহু ডাক জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমনের।
প্রকৃতির এতো আয়োজন দেখে আজ বুঝতে বাকি থাকে না ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে’ অথবা আজি এ বসন্তে এতো ফুল ফোটে এত বাঁশি বাজে। গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে সবুজ কচি পাতা আর নানা রঙের ফুল। বাতাসে ভেসে আসা আমের মুকুলের গন্ধ কিংবা হঠাৎ বয়ে আসা দখিনা বাতাস পরশ বুলিয়ে দেয় দেহমনে। বঙ্গাব্দের শেষ দু’মাস ফাল্গুন চৈত্র মিলিয়ে বসন্ত ঋতু।
বাংলার প্রকৃতি, আমাদের ভাষা, সমাজ সংস্কৃতি ও সাহিত্যের বড় স্থান দখল করে আছে বসন্ত। বসন্ত মিলনের ঋতু। শীতের প্রকৃতির অবসান ঘটিয়ে দখিনা সমীরণের প্রবাহ শুরু হয় বসন্তে। এর সাথে দোলায়িত হয় মানুষের মনও। তাই কবি বলেছেন সে কি তোমায় নেবে চিনে, এই নব ফাগুনের দিনে-জানিনে? অথবা রোদন ভরা এ বসন্ত, সখী বুঝিনি কখনো আগে/ মোর বিরহ বেদনা জাগিল কিংশুক রক্তিম রাগে। চিরায়ত সুন্দর ভালোবাসা আর নব যৌবনের প্রতীক হয়ে বসন্ত বাঙালি সংস্কৃতিতে আসে সবার জীবনে। বসন্তের আনন্দ যজ্ঞ থেকে বাদ যায় না গ্রাম্য জীবনও। বাংলার পল্লীতে গ্রামে-গঞ্জে সবচেয়ে বেশি মেলা বসে এ ঋতুতে। পিঠাপুলির সমারোহে গ্রামে-গঞ্জে দেখা যায় বসন্তের অন্য রকম আমেজ। বসন্ত উৎসব এখন প্রাণের উৎসবে পরিণত হলেও এর শুরুর একটা ঐতিহ্যের ইতিহাস রয়েছে। মোগল সম্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বসন্ত উৎসব।