বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় চার নেতার অন্যতম, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শহিদ তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক। আমি আওয়ামী লীগে ছিলাম, আছি এবং থাকব। সোমবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রাজনীতিতে ফেরা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার পিতা শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমার মা ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। আমাদের রক্তের ভেতরে আওয়ামী লীগ।’ তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগে ছিলাম, আছি এবং থাকব। বরাবরই বলে এসেছি, আমাকে যদি প্রয়োজন হয়, আমার যদি ডাক পড়ে, আমি সাড়া দেব। আমি আবার রাজপথে থাকব। ২০০১ সালে বিএনপি জামাত-জোট সরকারের সময় যেমন ছিলাম, ঠিক সেভাবেই থাকব। আমি সে অবস্থানেই আছি।’ ১৫ আগস্ট সম্পর্কে সোহেল তাজ বলেন, আমি মনে করি যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বব্যাপী জঘন্যতম একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন-যেখানে আমরা সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারব, যেখানে ন্যায় বিচার থাকবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা আমাদের বুকে একটি ছুরিকাঘাত। আমি মনে করি আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে তার অবদান, জাতীয় ৪ নেতার অবদান তুলে ধরতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনী, যাদের নিয়ে তিনি সংগ্রাম করেছেন সেটাই হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যতের চালিকাশক্তি।
সোহেল তাজ বলেন, বাংলাদেশের প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে অবদান সেটি সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে। সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হবে। সোনার বাংলা গড়তে হলে আমাদেরকে সোনার মানুষ তৈরি করতে হবে। কারণ, একটা দেশের উন্নতি, ভবিষ্যৎ সেই দেশের জনগণ তৈরি করে। তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমাদের সেই সোনার মানুষ, ভালো মানুষ তৈরি করতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। শোকের এই দিনে আমাদের সবারই শপথ নেওয়া উচিত যে নিজেদের ভালো মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর ৩ নভেম্বর চার নেতাকে যখন হত্যা করা হয় তখন দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু ছিল না। সে সময় আমার মা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের ভূমিকা নিয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ফিরে এসে আমাদের নেতৃত্ব দেন। এর আগে সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং তার মা জোহরা তাজউদ্দীনের কবর জিয়ারত করেন
পাঠকের মতামত