এম.শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার::
২৮ মে শনিবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলার ৪ টি ও রামু উপজেলার রামুর ৫ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। ভোট গণনা শেষে আওয়ামী লীগ ২ , বিএনপি ১ , জামায়াত ১ ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ৫ জন চেয়ারম্যান বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। খুরুস্কুল ইউনিয়ন :
কক্সবাজার সদরের খুরুস্কুল ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জসিম উদ্দিন বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ।
ঝিলংজা ইউনিয়ন :
ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী টিপু সুলতান ( নৌকা) বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন বিএনপি দলীয় ধানের শীষের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন জিকু।
পিএমখালী ইউনিয়ন :
পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার আবদুর রহিম (মোটর সাইকেল) বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
ভারুয়াখালী ইউনিয়ন :
ভারুয়াখালী ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত শফিকুর রহমান সিকদার ( ধানের শীষ) বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে, কক্সবাজারের রামু উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা ধরাশায়ি হয়েছে। এই ইউনিয়নগুলোতে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন,
গর্জনিয়া ইউনিয়ন :
কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম (আনারস)।
কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন :
কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় বিদ্রোহী প্রাথী মোস্তাক আহমদ (ঘোড়া) বেসরকারী ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন :
কচ্ছপিয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় বিদ্রোহী প্রাথী জাকের আহমদ (আনারস) বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ।
ঈদগড় ইউনিয়ন :
ঈদগড় ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় বিদ্রোহী প্রাথী বর্তমান চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্টো (আনারস) বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ।
রশিদনগর ইউনিয়ন :
রশিদ নগর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় বিদ্রোহী প্রাথী শাহ আলম (আনারস) বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ।
শনিবার সকাল ৮টা হতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার ও বিশৃংখলা সৃষ্টি দায়ে আটক করা হয়েছে ১০ জনকে। ভোট গণনাকালে প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী রাখা হয়েছে।
দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ভোটারদের স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। বড় ধরণের কোন ঘটনা না ঘটলেও বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা।
দুপুরে জাল ভোট দেয়াসহ নানা অভিযোগে রামুর উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নে ও সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র্র থেকে ১০ জনকে আটক করে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে ঝিলংজা ইউনিয়নের ঝিরঝিরি পাড়া, লার পাড়া ও হাজী পাড়া ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে সকাল সাড়ে ১১ টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা মোস্তফার আটক করেন ৭ জনকে। ঝিরঝিপাড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন পৌর কাউন্সিলর জিসান উদ্দিন সহ ৩ জন।
বিকেল ৩টার দিকে একই ইউনিয়নের ছুরতিয়া মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্র থেকে জাল ভোট দেয়ার সময় আটক করা হয় এক জনকে। এছাড়া রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের ধলিরছড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে থেকে বেশ কয়েকটি ভোটার আইডি কার্ডসহ আটক করা হয় এক নারী ভোটারকে। রামু রশিদ নগরে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে আটক করা হয় ২ জনকে।
কক্সবাজার সদরের খুরুস্কুল ইউনিয়নে হাটখোলাপাড়া, তেতৈয়া, ডেইলপাড়া ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অনেক কেন্দ্রে ভয়ে এজেন্টরা সরেও যায় বলে জানা গেছে।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত সদর উপজেলার ঝিলংজা, খুরুস্কুল, পিএমখালী ও ভারুয়াখালী এবং রামু উপজেলার গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, কাউয়ারখোপ, ঈদগড় ও রশিদ নগর ইউনিয়নে একটানা ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এখন চলছে গণনা। ভোট গণনাকালে প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী রাখা হয়েছে।এই ৯ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্র ভাবে মোট ৪০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।