এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযানে অবশেষে বন্ধ করা হয়েছে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর বাল্য বিয়ে।
শুক্রবার বিকাল তিনটার দিকে উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের গ্রীণভ্যালী নামের কমিউনিটি সেন্টারে এ অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও। অভিযানের সময় বিয়ের ক্লাব থেকে পালিয়ে যায় বর ও কণে পক্ষের স্বজনরা। পরে সেখান থেকে আটক করা হয় দুইজনকে। তাঁরা হলেন কণের দাদা মো.সফিউল আলম (৮০) ও বর পক্ষের আত্মীয় চকরিয়া পৌরসভার পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ শোয়াইব (৪২)। দুইজনকে চকরিয়া থানায় সৌর্পদ্দ করা হয়েছে।
জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের নিজপানখালী গ্রামের প্রবাসী রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে সবেমাত্র জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। কিছুদিন আগে দেশে এসে মেয়েকে বিয়ে দিতে প্রস্তুতি নেন রিয়াজ। ইতোমধ্যে পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের ফুলতলা এলাকার লোকমান হোসেন মেকারের ছেলে মিজানুর রহমানের সাথে মেয়ের বিয়ের কথা চুড়ান্ত করেন। গতকাল শুক্রবার ছিল বর ও কণে পক্ষের অতিথিদের ভুরিভোজের মাধ্যমে বিয়ের আনুষ্টানিকতা শেষ করার নির্ধারিত দিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বর মিজানুর রহমান বয়সের পরিপক্ক হলেও কণের বয়স মাত্র ১৩বছর ৯মাস। সবেমাত্র চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছে এ ছাত্রী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, অল্প বয়সে ওই ছাত্রীকে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ পেয়ে গতকাল কমিউনিটি সেন্টারে অভিযান চালিয়ে বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অভিযানে কণের দাদা ও বরপক্ষের একজনকে আটক করা হয়েছে। রাতে কণের মা ও বরের বাবা এবং স্বজনরা এসে ১৮বছর পুর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ওই মেয়েকে বিয়ে দেবেনা মর্মে মুছলেকা দিয়েছেন। এরপর আটক দুইজনকে ছেঁেড় দেয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত