পাকিস্তানি নারীর পরে এবার বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সমালোচনা করলেন পাকিস্তানের এক মন্ত্রী। তাঁর আহ্বান, ইউনিসেফ যেন প্রিয়াঙ্কার শুভেচ্ছাদূত পদ কেড়ে নেয়।ইউনিসেফের প্রতি পাকিস্তানের মানবাধিকারবিষয়ক মন্ত্রী শিরিন মাজারির অনুরোধ, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার শুভেচ্ছাদূতের পদ যেন প্রত্যাহার করে নেয়। তাঁর আরো আহ্বান, ইউনিসেফ যেন এ ধরনের সম্মানজনক পদে কাউকে নিয়োগের সময় অধিক সতর্কতা অবলম্বন করে।
বশ্য জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থাটির কাছে এ আহ্বানের পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন পাকিস্তানের মন্ত্রী।হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বালাকোট বিমান ধর্মঘটকে সমর্থন করে টুইট করেন। সেখানে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য শুভকামনাও জানান। আর এ নিয়েই আপত্তি পাকিস্তানের মন্ত্রীর। এ ব্যাপারে টুইটারে তিনি তাঁর মতামত ব্যক্ত করেন। শিরিনের মতে, ‘ভারতীয় সেনাবাহিনী ও দুর্বৃত্ত মোদি সরকারকে সমর্থন করায় ইউনিসেফের উচিত প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে প্রত্যাহার করা নেওয়া। অন্যথায় এটি এ পদকে উপহাসের বিষয় করে তুলবে।’সম্প্রতি এ ইস্যুতে পাকিস্তানি এক নারীর আক্রমণাত্মক প্রশ্নের সম্মুখীন হন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। পাকিস্তানি ওই নারী প্রিয়াঙ্কার কাছে জানতে চান, জাতিসংঘের শান্তিদূত হয়েও তিনি কেন তাঁর দেশে পরমাণু বোমা আক্রমণের মতো চিন্তাকে সমর্থন করছেন। পাকিস্তানে প্রিয়াঙ্কার লাখ লাখ সমর্থক রয়েছেন, এ কথাও মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি সেই নারী।
প্রশ্নের জবাবে বেশ ধীরস্থিরভাবে উত্তর দিতে শুরু করেন ‘দেশি গার্ল’ খ্যাত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে আমার অনেক ভক্ত থাকলেও আমি ভারতীয়। যুদ্ধকে সমর্থন না করলেও আমি দেশপ্রেমী। আমার কথায় পাকিস্তানের কেউ আঘাত পেলে আমি দুঃখিত।’নিজের অবস্থানের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতেও ভোলেননি প্রিয়াঙ্কা। বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে চিন্তা করি। নিশ্চয়ই আপনিও তা করেন।’তবে পাকিস্তানের মন্ত্রীর আহ্বানের ব্যাপারে প্রিয়াঙ্কার প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি এখনো। প্রিয়াঙ্কা কী জবাব দেন শিরিনকে, সেটি শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁর ভক্তকুল।