ডেস্ক রিপোর্ট::
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রথম চার ধাপে নির্বাচনী সহিংসতায় ১০১ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি এ পরিসংখ্যান তুলে ধরে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে অতীতের যে কোনো ইউপি নির্বাচনের চেয়ে এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চলতি ইউপি নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের ২১১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বিএনপি ৫৫৪ ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী দিতে পারেনি।
সুজনের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি ইউপি নির্বাচনের আগে ১৯৮৮ সালের নির্বাচন সবচেয়ে বেশি সহিংসতাপূর্ণ ছিল। ওই নির্বাচনে ৮০ জন নিহত হন।
এছাড়া ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইউপি নির্বাচনে ১০ জনের প্রাণহানি হয়। আর ২০০৩ সালে বিএনপি সরকারের আমলে ২৩ জন নিহত হন।
সংবাদ সম্মেলনে সুজন জানায়, চলতি ইউপি নির্বাচনে নিহতদের মধ্যে নির্বাচনপূর্ব সংঘর্ষে ৪৫ জন, ভোটের দিন সংঘর্ষে ৩৬ জন এবং ভোটের পর সংঘর্ষে ২০ জন মারা গেছেন।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থক ৪০ জন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক ১২ জন, বিএনপির ২ জন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী ২ জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া জাতীয় পার্টি (জেপি) ও জনসংহতি সমিতির একজন করে নিহত হয়েছেন।
সুজনের পরিসংখ্যানে বলা হয়, বাকি নিহতদের মধ্যে একজন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ৩ জন মেম্বর প্রার্থী ছিলেন।
এছাড়া মেম্বার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক ৩১ জন, ১২ জন সাধারণ মানুষ।নিহত ১০১ জনের মধ্যে ৪ জন নারী ও ৩টি শিশু রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন।