কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক হুইফ ও সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, আল্লাহর অস্ত্বিত্বকে বুকে ধারণ করে আমাদের ঈমানি শক্তিকে মজবুত করতে হবে। ইসলামী চেতনা নিয়েই এই বাংলাদেশে আমাদের বাঁচতে হবে। কোরআনকে বুঝতে হবে। ব্যক্তি জীবনে কোরানের পথে চলতে পারলে আলোকিত হবে সমাজ ও রাষ্ট্র। মানুষ চায় না আমরা বিভক্ত হয়ে যায়। দেশ গড়ার কাজে আমাদের মাঝে অনৈক্য নেই। ২৭ বছর বয়সে আমি প্রথম এমপি হয়েছিলাম। কক্সবাজারের রামু তখন আমার নির্বাচনী এলাকা ছিল। সেই সময় রামুতে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে আমাকে প্রধান অতিথি হিসেবে দাওয়াত করা হয়েছিল। সেই মাহফিলে প্রথম আমার সাথে দেখা হয়েছিল আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর সাথে। সেদিন তিনিও তরুণ ছিলেন আমিও ছিলাম তরুণ। তিনি অত্যন্ত ভদ্র মানুষ। আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। যে মানুষ সারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি গ্রামে গ্রামে কোরানের কথা বলেছেন। চট্রগ্রামে লক্ষ লক্ষ মানুষের মাঝে তিনি কোরআনের তাফসির করতেন। দেশ-বিদেশে ইসলাম প্রচারে তার অবদানের কথা আমাদের স্বরণ রাখতে হবে। তিনি আধুনিক ইসলামের একজন প্রবক্তা ছিলেন। আমি যখন প্রথম এমপি হই তখন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান অত্যন্ত ধর্মভীরু ছিলেন। তিনি ইসলাম প্রচারের জন্য ব্যাপক সুযোগ দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান শুধু বিএনপির নেতা ছিলেন না। তিনি সকলের নেতা ছিলেন। ঠিক তেমনি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী জামায়াত করতেন। কিন্তু তিনিও ছিলেন সকলের পছন্দের নেতা। বাংলাদেশের মানুষ জিয়াউর রহমান ও আল্লামা সাঈদীকে প্রচন্ড রকমের ভালোবাসতেন। খয়রাতিপাড়া এলাকায় সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাত ১১টার সময়ে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহজাহান চৌধুরী এসব কথা বলেন। খয়রাতি পাড়া হিলফুল ফুযুল শান্তি সংঘ সংগঠন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ইহুদীরা ও হিন্দুস্থানের ষড়যন্ত্রে মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি সৃষ্টি করল। ফেলেস্টাইনে, কাস্মিরে, মিয়ানমার ও হিন্দুস্থানের বিভিন্ন প্রদেশে মুসলমানদের উপর চরমভাবে নির্যাতন চালিয়েছে। মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা আমাদের চোখের সামনে তার প্রমাণ। রোহিঙ্গাদের কি কষ্ট যাচ্ছে আমরা দেখছি। আমরা তাদেরকে কি সাহায্য করতে পারছি। রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ কষ্ট পাচ্ছে আমরা কিছুই করতে পারছি না। মুসলমান হিসেবে আমরা তাদের সাহায্য করতে পারছি না কেন এটা একটা বড় প্রশ্ন। কিন্তু আমরা তাদেরকে জায়গা দিয়ে নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করেছি। আমাদের পাশেই রয়েছে রোহিঙ্গা সুতরাং মুসলিম হিসেবে তাদের দেখতে হবে। শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, ১ বছর আগেও তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে কথা বলতে পারতো না। কোরানের সঠিক কথা বললে গলা টিপে ধরা হতো। কেন? এরা কারা? আমাদের বাক স্বাধীনতা কারা হরণ করেছিল? এসব মানুষগুলোকে আমাদের মনে রাখতে হবে। আল্লাহর ওয়াস্তে এই অমানুষগুলোকে আমাদের চিনে রাখতে হবে। তারা যে কোন মূহুর্তে আমাদের বিপদে ফেলতে পারেন। আপনারা দেখেছেন, উখিয়া এবং রামুতে কারা বৌদ্ধ মন্দির পুড়িয়ে দিয়েছিল এবং হামলা করেছিল। আর মামলার আসামি করা হয়েছিল শাহজালাল চৌধুরী, সরওয়ার জাহান চৌধুরীসহ অসংখ্য জামায়াত-বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে। এগুলো দুঃখের ব্যাপার। হাফেজ কাজী আবু হারুন মুকাদ্দাস আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ড. কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মাওলানা আবুল ফজল, মাওলানা নুর আহমদ, প্রমুখ।
হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া নিউজ ডটকম
কক্সবাজার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিদের জীবিকা ও জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে ...
পাঠকের মতামত