গাজীপুরে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখার ক্যাশিয়ারকে অজ্ঞান করে ১২ লাখ টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই শাখার এজেন্ট মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম খান বাদী হয়ে বাসন থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ইসলামী ব্যাংকের মালেকের বাড়ি এজেন্ট শাখা থেকে ওই টাকা নিয়ে ব্যাংকটির চান্দনা চৌরাস্তা শাখায় জমা দিতে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।
এজেন্ট মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম খান জানান, তার এজেন্ট শাখার ক্যাশিয়ার ওয়াহিদুর রহমান সোমবার (৩ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ছয়দানা মালেকের বাড়ি এজেন্ট শাখা হতে নগদ ১২ লাখ টাকা একটি স্কুল ব্যাগে করে নিয়ে ইসলামী ব্যাংক গাজীপুর চৌরাস্তা শাখায় জমা দেওয়ার উদ্দেশে বের হন। পথে তিনি মালেকের বাড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে বলাকা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে ওঠার পর অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়েন। ওই বাসে তার সঙ্গে ব্যাংকের গ্রাহক হিসেবে এক যাত্রীর পরিচয় হয়। এরপর তিনি আর কিছু বলতে পারেননি। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তার কাছ থেকে টাকাভর্তি ব্যাগ লুটে নেওয়ার পর ময়মনসিংহগামী একটি বাসে উঠিয়ে দেয়।
তিনি জানান, এদিকে দীর্ঘ সময় পার হলেও ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে শাখায় ফিরে না আসায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চান্দনা চৌরাস্তা ব্রাঞ্চে তিনি টাকা জমা দেননি। ব্যাংকে যোগাযোগ করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ওয়াহিদুর রহমান নামে কোনও ব্যক্তি ব্রাঞ্চে টাকা জমা দিতে আসেনি। ওয়াহিদুর রহমানের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার আত্মীয়-স্বজনের বিষয়টি জানালে তারাও কোনও খোঁজ পাননি বলে জানান।
ব্যাংকটির এই এজেন্ট আরও জানান, সন্ধ্যার পর তার চেতনা ফিরলে তিনি বাসায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তার স্বজন ও এজেন্ট শরীফুল ইসলাম ফুলপুর গিয়ে তাকে উদ্ধার করে গাজীপুরে এনে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে টাকার সন্ধান মেলেনি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার এসআই নাজমুল হক বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। যিনি টাকার বাহক ছিলেন তার কথাবার্তা সন্দেহজনক।