অনলাইন ডেস্ক - পানিতে গুলিয়ে অথবা চিবিয়ে সেবন করার পাশাপাশি ইয়াবার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় নতুন মাদক ‘নিউ সাইকোট্রফিক সাবসটেনসেস’ (এনপিএস) বা ‘খাট’। মঙ্গলবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ডিআইজি মো. শাহ আলম।
এর আগে, গত রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় জিপিও’র বৈদেশিক পার্সেল শাখায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৬০০ কেজি ‘খাট’ জব্দ করে সিআইডি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য দুই কোটি ৩৭ লাখ ৯৫ হাজার ৪০০ টাকা। ইথিওপিয়া থেকে পাঠানো এই মাদক বাংলাদেশের ২০টি প্রতিষ্ঠানের নামে ‘গ্রিন টি’ হিসেবে আনা হয়েছিল। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে গত ১০ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি মো. শাহ আলম বলেন, দেশের ভেতরে মাদক পাচারের জন্য বিভিন্ন সময় কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান ব্যবহারের কথা জানা গেছে। তবে এবার বিদেশ থেকে মাদক আমদানিতে দেশের ডাক বিভাগ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে মাত্র মামলা রুজু করা হয়েছে। এটি অঙ্কুরিত অবস্থায় রয়েছে। আশা করছি তদন্তে এর সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশী চক্রটিকে আমরা সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, যে ঠিকানাগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো সঠিক কি না যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যেহেতু এগুলো পোস্ট অফিসের মাধ্যমে এসেছে, কোন বহনকারী নেই। তবে যারাই জড়িত থাকবে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।