শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর::
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। খবর পেয়ে বিট কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে ড্যাম্পারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করলেও পরে মোটা অংকের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রেঞ্জ কর্মকর্তা বিষয়টি অস্বীকার করেন। ২৩ নভেম্বর সকাল ৮টার দিকে ঈদগাঁও দরগাহ পাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে মাটিভর্তি ট্রাকটি জব্দ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মোহাম্মদ হোছনের পুত্র মনিরুল ইসলাম প্রকাশ মনিজ্জার নেতৃত্বে আরো সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু চক্র কারো না কারো পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে আসছিল। অনুরূপভাবে দরগাহ বাজার সংলগ্ন সৌদি প্রবাসী জনৈক ফয়েজ আহমদের স্ত্রী খতিজা বেগম বাসায় অনুপস্থিতিতে উক্ত মনিজ্জার নেতৃত্বে কয়েকজনের সংঘবদ্ধ চক্র ড্যাম্পারযোগে তার বাড়ীর আঙ্গিনার বিশাল একটি পাহাড়ের মাটি কেটে পুকুর ভরাট করে আসছিল। খবর পেয়ে ভোমরিয়াঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু তাহেরসহ অপরাপর বিট কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মাটি না কাটার অনুরোধ জানিয়ে ফিরে যায়। দুুদিন পর আবারো মাটি কাটার খবর পেয়ে বুধবার সকালে অভিযান চালিয়ে মাটিভর্তি একটি ড্যাম্পার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম জব্দ করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের তদবিরে গাড়ীটি ছেড়ে দেয় বলে জানান স্থানীয়রা। ফয়েজ আহমদের স্ত্রী খতিজা বেগম জানান, তার অসুস্থ বাবাকে দেখতে বাপের বাড়ীতে যায়। এ সুযোগে স্থানীয় মোহাম্মদ হোছনের পুত্র মনিরুল ইসলাম প্রকাশ মনিজ্জার নেতৃত্বে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছিল। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষ বরাবরে অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান খতিজা। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এ সিন্ডিকেটটি দীর্ঘদিন ধরে এ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল। খবর পেয়ে বিট কর্মকর্তারা লোক দেখানো অভিযান চালালেও অফিসে পৌছানোর পূর্বেই শুরু হয় পাহাড় কাটার মহোৎসব। নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা সাজিয়ে প্রায় সময় সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে গাছ পাচার, বালি উত্তোলন, পাহাড় কাটাসহ হরেক রকম অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসলেও কোন পদক্ষেপ নেননি বলে জানা যায়। অভিযোগের ব্যাপারে উক্ত মনিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা দিলেও কেউ কিছু করতে পারবে না বলে হুংকার দেয়। রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে ড্যাম্পার আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেন। স্থানীয়রা পরিবেশ ধ্বংসকারী উক্ত মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।