প্রকাশিত: ১২/০৯/২০১৬ ৭:৩৭ এএম

sentউখিয়া নিউজ ডটকম::

চলতি বর্ষা মৌসুমে একাধারে কয়েকমাস বন্ধ থাকার পর নতুন করে অপরূপ সাজে সাজছে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপের ছোট বড় শতাধিক হোটেল এবং সৈকত এলাকাগুলো। আবহাওয়া ভাল থাকলে বিপুল সংখ্যার পর্যটকের আগমন ঘটবে এমনটি মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। ঈদুল আযহার ছুটিতে সমাগম হয় লাখ লাখ পর্যটকের। তবে এবারের ঈদুল আযহার ৬ দিনের লম্বা ছুটির কারণে ভিন্নমাত্রা যোগ হচ্ছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরির্দশন দেখা যায়, সেন্টমার্টিন দ্বীপের এলাকাগুলো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো সাজানো হচ্ছে নানা আকর্ষণীয় সাজে। সর্বত্র চলছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। পুরনো জিনিসপত্র ধুয়ে মুছে আর একটু আকর্ষণীয় করে তোলার কাজ চলছে এখন। রেস্তোরাঁগুলোতেও চলছে ধোয়ামোছা ও রং লাগানোর প্রতিযোগিতা।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউপি সদস্য জানান, পর্যটক বরণে প্রস’ত সেন্টমার্টিন। অনেক দিন পরে হলেও পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি পাওয়ায় দ্বীপের মানুষ খুশি হয়ে উঠেছে। দ্বীপের অনেক হোটেল অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছে।
এদিকে টেকনাফের অনেক আবাসিক হোটেলও অগ্রিম বুকিং হয়ে হচ্ছে বলে হোটেল সূত্রে জানায়।
সেন্টমার্টিন দ্বীপে আবাসিক-অনাবাসিক ছোট বড় হোটেল মোটেল কটেজ আছে শতাধিক।
গত বছর এসব হোটেল ও কটেজের সংখ্যা ছিল তার অর্ধেক। সেন্টমার্টিন দ্বীপ আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সেক্রেটারি জানান, পর্যটকবাহী জাহাজ চালু হলে পযর্টকের ঢল নামবে। এতে দ্বীপের আবাসিক ও খাবার হোটেল এবং সমুদ্র সৈকতকে নতুন করে সাজানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে নতুন পুরাতন মিলে শতাধিক হোটেল এবং কটেজ রয়েছে। এসব হোটেল এবং কটেজ অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হোটেল এবং কটেজ হচ্ছে- প্রিন্স হেভেন, আল বাহার, প্রাসাদ প্যারাডাইজ, কক্স বাংলা, রোজ মেরী, ব্লু মেরীন রিসোর্ট, ডলফিন, সী আইল্যান্ড, সী ব্লু, ব্লু সী, ব্লু মুন, সীমানা পেরিয়ে, অবকাশ, ড্রীমনাইট, সিটিবি, ডায়মন্ড, আইল্যান্ড প্রাসাদ, প্রিন্স আলবাহার, ঊশান ভিউ, সমুদ্র বিলাস, স্বপ্নপুরী, স্বপ্ন বিলাশ, সাগর বিলাস, জলপরী, নীল দিগন্ত, নাবিবা বিলাস, পান্না রিসোর্ট,কোরাল ভিউ, সেন্ট রিসোর্ট, রেহানা কর্টেজ, ময়নামতি, দেওয়ান কটেজ, গ্রীন ল্যান্ড, মুজিব কটেজ, শাহজালাল কটেজ, রেজা কটেজ, রিয়াদ রেস্ট হাউস, বে অব বেঙ্গল।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. জুবাইর জানান, দ্বীপের মানুষ পর্যটকদের বরণ করতে সদা প্রস’ত। সার্বিক পরিসি’তি অনুকূলে থাকলে দেশি বিদেশি পর্যটকরা নিরাপদে দ্বীপ ভ্রমণ করতে পারবে।
অন্যদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে শক্তিশালী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। সমুদ্রে গোসল করতে নামা পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত আছে লাইফগার্ড কর্মীরা। কোন পর্যটক যাতে বিপদ সীমা অতিক্রম না করে, সেজন্য সাগর তীরে বসানো হয়েছে বিশেষ সতর্ক চিহ্ন।
টুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তাদের একটি টিম সেন্টমার্টিনে কাজ করছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, দ্বীপের মানুষ সবসময় পর্যটক বান্ধব। অন্যান্য বছরের মতো এবছরও পর্যটন মৌসুমে যাতে দেশি-বিদেশি পর্যটক শিক্ষার্থীরা নিরাপদে দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলাসহ সব প্রস’তি নেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত