কক্সবাজার জেলার উখিয়ার পালংখালি এলাকা হতে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ অবৈধ মাদক আইসের (ক্রিস্টালমেথ) চালান জব্দ করেছে র্যাব। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে মাদক ব্যবসার অন্যতম গডফাদার পুলিশের চাকরিচ্যুত কনস্টেবল আলাউদ্দিন ও ইরান মাঝিসহ চারজনকে। গতকাল শনিবার র্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে আইসের সর্ববৃহৎ এই চালানটি আটক করে।
র্যাব জানায়, দু-দিন আগে এই চালানটি মিয়ানমার থেকে আনা হয়।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব এই অভিযান পরিচালনা করে।
গত ২৬ এপ্রিল পালংখালীর বালুখালী এলাকা থেকে ২১ কেজি ৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করেছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ১০ দিনের মাথায় আইসের বৃহত্তম চালান আটক করলো র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবর পায় র্যাব।
এই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানের একপর্যায়ে ২৪ কেজি আইসের চালান উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। উদ্ধার করা ক্রিস্টাল মেথের চালানটি দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ চালান।
মাদকের বড় এই চালানটি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মজুদের উদ্দেশ্য ছিল চোরাকারবারিদের। পরে এগুলো ছোট ছোট চালান করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হতো।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে পুলিশের চাকুরিচ্যুত কনস্টেবল আলাউদ্দিন রয়েছেন। ২০১৭ সালে মাদকের একটি মামলার আসামি হলে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর থেকে তিনি মাদকের ব্যবসা পুরোদমে চালাতে থাকেন।
বর্তমানে তিনি মাদকের অন্যতম একজন গডফাদার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। ইতিপূর্বে ২১ কেজি আইস উদ্ধার মামলায় গ্রেফতারকৃত বুজরুজ মিয়ার বোন জামাই হলেন চাকরিচ্যুত এই পুলিশ কনস্টেবল আলাউদ্দিন। তারা দীর্ঘদিন ধরেই আইসের বড় বড় চালান এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিলেন। অঢেল সম্পদের মালিক বনে যাওয়া আলাউদ্দিন মাদক কারবারিদের মধ্যে অন্যতম। গ্রেফতারকৃত চারজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।