উখিয়াতে এখনো গড়ে ওঠেনি সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট উখিয়া-টেকনাফে লাখ লাখ রোহিঙ্গা আগমণের পর থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তাদের পেছনে খরচ করা হলেও স্থানীয়দের জন্যে উখিয়াতে নেই স্কিট ষ্টেয়ার লোডার বা আবর্জনা বহনকারী আধুনিক ট্রাক। ময়লা ফেলার নির্ধারিত স্থান না থাকায় এবং সচেতনতার অভাবে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের পাশে যত্রতত্র ময়লা ফেলা হচ্ছে। কিছুদিন আগে উখিয়া প্রেস ক্লাবের ধারে হোটেল রেস্তুরা ও বয়লা মুরগির বাজার থেকে প্রতিদিন ময়লা এনে ফেলা হতো। তখন উখিয়ার প্রবেশ মুখে দুর্গন্ধের জন্য হাটাচলা মুশকিল হয়ে পড়ে। উখিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা লিখতে লিখতে অবশেষে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির কবির চৌধুরীর প্রচেষ্টায় প্রেস ক্লাবের পাশ থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা হয়েছে। এখন উখিয়া থেকে কোটবাজার যাওয়ার প্রবেশ মুখে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের পাশে ময়লা ফেলা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম চলমান না থাকায় বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। বর্জ ব্যবস্থাপনার দিকে নজর না দেয়ায় কিছুতেই উন্নতি হচ্ছে না। গড়ে ওঠছে না সুষ্ঠু বর্জ ব্যবস্থাপনা। পরিবেশসম্মত উপায়ে আধুনিক পদ্ধতিতে বর্জ অপসারণ করা এখন উখিয়া কোটবাজারবাসির সময়ের দাবি।উখিয়াতে রোহিঙ্গা আসায় দ্রুত অট্রালিকা বাড়ি-ঘরের নির্মাণের ফলে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার নির্দিষ্ট স্থানে জমাকৃত আবর্জনা এবং বাজার ও ষ্টেশনগুলোর হোটেলের ময়লা নির্ধারিত স্থান ঠিক করে দিয়ে তা অপসারণের দায়িত্ব নিতে হবে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের এমনটিই মনে করছেন সচেতন মহল। সে ক্ষেত্রে দোকান মালিক সমিতিকেও অন্তর্ভুক্ত করা যায়। উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদ কবির বলেন, আমরা নির্মল বাতাস, ও পরিচ্ছন্ন উখিয়া দেখতে চাই। রোহিঙ্গাদের কারণে আমরা হারিয়েছি বনভূমি, পাহাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। সেই সাথে পরিবেশের ওপর মারাত্নক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা রাজাপাললং এলাকার মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, বিদেশের রাস্তা পরিস্কার কোন প্রকার ময়লা নেই। আর আমাদের উখিয়া কোটবাজারে মানুষ চলাচলে ফুটপাত পর্যন্ত নেই। সব দখল করে অপরিকল্পিতভাবে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। উখিয়ার চেয়ে কোটবাজারের অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তার ধারে ময়লা দেখতে খারাপ দেখায়। জনপ্রতিধিরা এগুলো দেখে না। আমরা সাধারণ জনগণ ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করি। মানুষের প্রতি তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যে কি এগুলো পড়ে না। আসলে জবাবদিহিতা নেই এখানে। মানুষকেও সচেতন হতে হবে। তিনি আরও বলেন, অপসারিত বর্জ দিয়ে কম্পোষ্ট প্লান্ট তৈরির পরিকল্পনা করা যেতে পারে। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং এনজিওর সমন্বয়ে ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করতে ঠিকাদারদের দিয়ে তা করা যেতে পারে। সুষ্ঠু বর্জ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিকল্প নেই। কম্পোষ্ট প্লান্ট স্থাপনে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা যেতে পারে। কিন্তু আমরা তার কিছুই করছি না। ফলে জনদুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে।