চার বছরের এক কন্যা শিশুকে প্রলোভন দেখিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা মানবিক কর্মসূচিতে কর্মরত এনজিও’র এক গাড়িচালকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর পিতার অভিযোগ, চকলেট এর প্রলোভন দেখিয়ে তার কন্যাকে নিজের কক্ষে আটকে রেখে অশালীনভাবে যৌন নিপীড়ন চালায় ঐ গাড়িচালক।
অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ (৩৯), কক্সবাজার সদর উপজেলা’র ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম ইউসুফের খিল এলাকার মোহাম্মদুল হকের পুত্র এবং তিনি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর অধীনে পরিচালিত একটি প্রকল্পে ভেন্ডরের আওতায় চুক্তিবদ্ধ গাড়ি চালকের কাজ করেন বলে জানা গেছে।
নিজের কন্যাকে যৌন নিপীড়ন প্রসঙ্গে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ঐ বাসিন্দা বলেন, মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে চাকরিতে ফিরে আসার পর বাড়ির আঙ্গিনায় খেলতে থাকা তার কন্যাকে কৌশলে নিজ কক্ষে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী ঘরের ভাড়াটিয়া লতিফ।
ঐ দিন সন্ধ্যায় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পর তিনি দেখতে পান তার কন্যা অসুস্থবোধ করছে এবং সে জানায় সাদা আংকেল তার শরীর স্পর্শ করেছে। প্রতিবেশী হওয়ার সুবাধে জানাশোনা থাকায় তার কন্যা সাদা আংকেল বলে লতিফ’কে সম্বোধন করতো। তিনি আরো জানান, শারীরিক অবনতি হওয়ায় কন্যা’কে উখিয়া হাসপাতালে নেওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে দুই দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠলে বাড়িতে নিয়ে আসা হয় ঐ কন্যাকে, হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্রে অসুস্থতার কারণ যৌন নিপীড়ন (সেক্সুয়ালি এসাল্ট) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্ত লতিফের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এ ঘটনা পরিকল্পিতভাবে সাজানো এবং তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেন তিনি।
তিনি বলেন, ” আমার বাড়ির মালিকের সাথে মেয়েটির পিতার পারিবারিক শত্রুতা রয়েছে যার জেরে তিনি এই মিথ্যা বানোয়াট গল্প সাজিয়েছেন। আমি এমন অন্যায় কখনোই করতে পারিনা।” এঘটনায় উখিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর পিতা।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম হোসাইন বলেন, ” বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে, অভিযোগ পর্যালোচনা করে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ”