সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার, উখিয়া নিউজ ডটকম।
প্রকাশিত: ০৫/০৬/২০২৪ ১০:৫১ এএম , আপডেট: ০৫/০৬/২০২৪ ১১:১৬ এএম

চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও মনগড়া কার্যকলাপের অভিযোগ নিয়ে কক্সবাজারের হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ৮ ইউপি সদস্য মুখোমুখি অবস্থান করায় নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় জনগণ।

উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পুরুষ ও মহিলা মেম্বার যথাক্রমে ছেনুয়ারা বেগম, (সংরক্ষিত আসনের সদস্য- ১, ২, ৩ নং), জহুরা বেগম ( সংরক্ষিত আসনের সদস্য-৪, ৫, ৬) মনজুর আলম (ইউপি সদস্য- ১নং ওয়ার্ড) বোরহান উদ্দিন (ইউপি সদস্য- ২নং ওয়ার্ড), সরওয়ার কামাল বাদশা (ইউপি সদস্য- ৫নং ওয়ার্ড), (মোহাম্মদ শাহজাহান শাহীন) ইউপি সদস্য- ৬নং ওয়ার্ড, শাহজাহান চৌধুরী ( ইউপি সদস্য- ৭ নং ওয়ার্ড) কর্তক উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন-এর বরাবরে দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,উখিয়া উপজেলার ৩নং হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম ইমরুল কায়েস চৌধুরী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই পরিষদে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও মনগড়া কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি চেয়ারম্যান হিসাবে শপথ গ্রহণের পরবর্তী পরিষদের উন্নয়নকল্পে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারা, উপ-ধারা লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। নিয়মিত মাসিক সভা করার নিয়ম থাকলেও ৩ মাস অতিবাহিত হলেও অদ্যাবধি কোন সভার আয়োজন করেননি। যার কারণে পরিষদের কার্যক্রমে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন::  উখিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুলের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা

 

তিনি স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও মনগড়া কার্যকলাপে জড়িত থাকায় বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য ও স্যাধারণ সদস্যদের মাঝে উদ্বেগ ও হতাশা বিয়াজ করছে। পরিষদের মিটিং বিহীন এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন, বিতরণ ও সরকারি বিভিন্ন অনুদান, বরাদ্দ বাস্তবায়ন করে আসছে। যাহা সম্পুর্ণ নিয়ম বহি ভূত।

আরও পড়ুন :  ১ কোটি ৩২ লাখ টাকার ইয়াবা ধরিয়ে দিলেন উখিয়ার কৃতি সন্তান সাংবাদিক ইমরুল

২০২৩/২০২৪ অর্থ বছরের টিআর, কাবিখা, কাবিটা, এডিবি, ১% সহ সরকারি সকল প্রকল্প নিজের ইচ্ছেমত রেজুলেশন বিহীন উপজেলায় প্রেরণ করে কৌশলে অনুমোদন করে। পরিষদের সকল সেবা ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং ট্যাক্স, ভূমিহীন সনদ, মৃত্যু সনদ, জন্ম নিবন্ধন সনদ, পাসপোর্টট, ভোটার ফরম ও বিভিন্ন প্রত্যয়ন সহ অন্যান্য কার্যক্রম ব্যক্তিগত জনবল নিয়োগ করে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ, অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাত করে যাচ্ছে মাসের পর মাস। যার কারণে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ জনগণ চরম ভোগান্তির মধ্যে আছে।

পাঠকের মতামত