কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালংয়ের পাতাবাড়ী এলাকায় প্রান্তিক চাষীদের জন্য সরকারিভাবে অনুমোদিত কৃষি সেচ স্কিম কতিপয় প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক জবরদখল করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এতে করে বুরো মৌসুমে বিপুল পরিমাণ জমির চাষাবাদে পানি সরবরাহ ও সেচ প্রদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় চাষীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত সেচ স্কিমের মালিক আবু তাহের এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে ।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাতাবাড়ি এলাকার মৃত সোনা আলীর পুত্র আবু তাহের উপজেলা কৃষি ও সেচ ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদিত সেচ স্কিম পরিচালনা আসছেন। বিগত ২০০৫ হতে প্রান্তিক চাষীদের অনাবাদি জমি শুষ্ক মৌসুমে আবাদ করার লক্ষ্যে গভীর নলকূপ স্থাপন ও বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে গত ১৮ বছর ধরে নিরবিচ্ছি ভাবে পানি সরবরাহ বা সেচ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আসতে সক্ষম হয়।
কৃষি সেচ স্কিমের মালিক আবু তাহের জানান, আমার দীর্ঘদিনের পরিচালিত সেচ স্কীমের সহযোগিতায় বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে পাম্প স্থাপন করে বিপুল পরিমাণ জমি শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ করে অধিক ফলন উৎপাদন করে আসছিল স্থানীয় চাষীরা। যার সেচ মিটার নম্বর ২৩৯১৭৮২৯ হিসাব নম্বর ২২৫-১৭১৮। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত উপজেলা সেচ ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত উক্ত সেচ স্কিমের আওতায় প্রায় ৮ একর জমিতে চাষাবাদ সহ পানের বরজ ও সবজি ক্ষেত আবাদের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ,সরকার অনুমোদিত উক্ত সেচ স্কিম চলতি বুরো মৌসুমে একই এলাকার প্রভাবশালী মোস্তাক আহমদের পুত্র মিজান ও আব্দুল আজিজ মোঃ শফির পুত্র সাদেক হোসেন ও মোঃ কালুর পুত্র মোহাম্মদ আলী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জবরদস্তি মুলক তাদের দখলে নিয়ে যায়। আবু তাহের এ ঘটনায় বাধা প্রদান করলে ধারালো কিরিচ দিয়ে উল্টো প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এসবের নাটেরগুরু হচ্ছে সৈয়দ নুর।
স্থানীয় প্রবীণ চাষী ফকির আহমদ (৮৬) জানান দীর্ঘ এক যুগের অধিক সময় আবু তাহের শুষ্ক মৌসুমে সেচ স্কিমের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে আসছিল। এলাকার কৃষকরা উক্ত স্কিমের চাষাবাদে করে ফলন উৎপাদন করে নিজেরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে। চলতি মৌসুমে একটি পক্ষ উক্ত স্কিমটি কেড়ে নিয়েছে বলে শুনেছি। একই এলাকার প্রান্তিক চাষী জাফর আলম (৬৫) ও রুস্তম আলীও একই কথা জানান।
আবু তাহের অভিযোগ করে বলেন প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক সেচ স্কিম টি কেড়ে নেওয়ার কারণে একদিকে শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছে অপরদিকে ২ টি গভীর নলকূপ ও বিদ্যুৎ সংযোগ সহ সেচ মিটার অকেজো হয়ে পড়েছে। এতে করে তিন লক্ষাধিক টাকা আর্থিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবার এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট হস্তক্ষে কামনা করেছেন।