উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের হাজিরপাড়া থেকে দোছড়ি সড়কের কাজ চলমান অবস্থায় হঠাৎ করেই দেখা দেয় ভয়াবহ দোছড়ি খালের ভাঙন। কয়েকদিনের ভাবি বর্ষণে খয়রাতিপাড়া এলাকার শাহ আলমের বাড়ি সংলগ্ন দোছড়ি খালের তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। এতে এলাকার জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সরেজমিন দেখা যায়, বর্ষায় দোছড়ি সড়কের কাজ শুরু হলে খালের এক পাশে গাইড ওয়াল তৈরি করতে মাটি খনন করা হয়। এতে ভারি বৃষ্টিপাতে পানির স্রোতে খালে ভাঙন দেখা দেয়। খয়রাতি পাড়া এলাকার মিস্ত্রি শাহ আলমের বড় ভায়ের ভিটেবাড়ি ভাঙনের কবলে পড়ে ফাটল ধরে নির্মাণাধীন বাড়ির অংশে। তার বাড়ির সাথে লাগোয়া সড়ক বিলীনের পথে। যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটির অনেকাংশে বিলীন হয়ে গেছে। এর ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ছৈয়দ হামজা জানান, দোছড়ি সড়কের কাজ ধীরগতি, খালের ভাঙন দেখা দিলেও এ পর্যন্ত উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এরা কেউই এখনো পরিদর্শনে আসেননি। তিনি দোছড়ি সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার পাশাপাশি স্থায়ীভাবে খালের ভাঙনরোধে জরুরি ব্যবসস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসীদের পক্ষে জোর দাবি জানান। খয়রাতিপাড়া এলাকার মিস্ত্রি শাহ আলম বলেন, হঠাৎ করেই চোখের সামনে দিয়ে খালের তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই এলাকায় এমন ভাঙন আমি আর কোনোদিন দেখি নাই। এখনই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ঘরসহ ভিটেবাড়ি বিলীন হয়ে যাবে। স্থানীয়রা জানান, হাজিরপাড়া থেকে দোছড়ি পর্যন্ত সড়কের কাজ চলছে। এতো ধীরগতিতে কাজ হচ্ছে যাতে করে বর্ষায় কাদামাটিসহ নানান সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাতায়াতকারী লোকদের। স্থানীয় মোহাম্মমদ ইসলাম ও সেলিনা আক্তার বলেন, এখনই রাস্তার কাজের পাশাপাশি খালের ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই বর্ষায় ভাঙন আরো মারাত্নক আকার ধারণ করবে। তারা আরো বলেন, ভাঙন কবলিত স্থানে জরুরি ভিত্তিতে গাইড ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করা হোক। দোছড়ি সড়কের কাজের জন্য আগে খালের পাশে গাইড ওয়াল তৈরি করতে গিয়ে মাটিকাটায় এলাকার জনসসাধারণের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দোছড়ি খালের তীব্র ভাঙনে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এলাকাবাসী। তাছাড়া খালের ভাঙনে ভেঙে গেছে চলাচলের একমাত্র সড়কটি। ঠিকাদার সংস্কার কাজ শুরু করে। কিন্তু সংস্কার কাজ শেষ না করে কাজের গতি কমিয়ে দিয়ে বসে আসেন। এতে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।