কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের থাইংখালী ও মোছারখোলা বিটের বনভূমি থেকে প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে বালি ও মাটি। অবৈধভাবে রাতের আঁধারে বালি উত্তোলন করে বিক্রয় কেন্দ্র নাম দিয়ে একটি জায়গায় মজুদ রেখে সরকারি ইজারা বা নিলামের বালির গালগল্প শুনিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে আসছে একটি শক্তিশালী চক্র।
সোমবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১১টার দিকে বালুভর্তি তিনটি ডাম্পার ধাওয়া করলে টেকনাফের দিকে পালিয়ে যায়। পরে টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তার সহযোগিতায় ধাওয়া দিলে ডাম ট্রাক( ডাম্পার) তিনটি ফেলে পালিয়ে যায় চালকরা। সড়ক থেকে তিনটি ডাম্পার টেকনাফ রেঞ্জ কার্যালয় হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, পট পরিবর্তনের পর দাপট দেখিয়ে ইজারা বা নিলামের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধভাবে বনভূমির খাল ও পাহাড় কেটে বালি ও মাটি পাচার করে বিক্রি করছে একটি সিন্ডিকেট। অনুসন্ধানে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পালংখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন চৌধুরীর নামে একটি রশিদ/ স্লিপ নিয়ে বনভূমির বালি বৈধ করার চেষ্টা করছে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মী। যার মধ্যে উঠেছে এসেছে পালংখালী ইউনিয়ন যুবদলের শাহা আলম,সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো সহ কয়েকজনের নাম। যারা প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বৈধতা দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাহাব উদ্দিন চৌধুরীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সদুত্তর মেলেনি।
উখিয়া রেঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( সহকারী বন সংরক্ষক) মো. শাহিনুর ইসলাম বলেন,” গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে বনভূমি থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে পাচার করার সময় তিনটি ডাম্পার ধাওয়া করলে টেকনাফের দিকে পালানোর চেষ্টা করে। পরে হোয়াইক্যং রেঞ্জ ও টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তার সহযোগিতায় তিনটি ডাম্পার জব্দ করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে,ডাম্পার ভর্তি বালু অবৈধভাবে বনভূমির পাহাড় ও খাল থেকে উত্তোলনকৃত বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত।ডাম্পার ভর্তি বালু অবৈধভাবে বনভূমির খাল থেকে উত্তোলন । এ বিষয়ে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।