হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেনা। হলদিয়ার সমস্যা সমাধানে নির্বাচন কমিশনকে ৫ দিনের সময় বেধে দিয়েছে হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশনকে ৫ দিনের মধ্যে হলদিয়ার চেয়ারম্যান প্রার্থী সামশুল হক বাবুলের করা আবেদনের সমাধান করে দিতে বলেছে বিচারপতি জাফর আহম্মদ ও বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ। হলদিয়াপালং এ চেয়ারম্যান প্রার্থী সামশুল হক বাবুলের করা আবেদনের পরিপেক্ষিতে এই আদেশ দেন উচ্চ আদালত।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শেষ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ৪ জুন। ঐ দিন উখিয়া ৩ নং হলদিয়াপালং পালং ইউনিয়ণ পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামীলীগের প্রার্থী শাহা আলমকে বিজয়ী করতেকক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও উখিয়া উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরাসরি ভোট কারচুপির অভিযোগ উঠে।
বিচারপতি জাফর আহম্মদ ও বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ হলদিয়ার নির্বাচনে কেন্দ্র ভিক্তক প্রিসাইডিং অফিসার স্বাক্ষরিত ৯ টি কেন্দ্রর ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। ৯টি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার স্বাক্ষরিত ঐ ফলাফলে ৬২৯ ভোটে বিজয়ী হয়েছে ধানের শীর্ষ প্রতিক নিয়ে সামশুল হক বাবুল। তবে ভোটের দিন রাতে উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের দেয়া ফলাফলে বিজয়ী ঘোষনা করা হয় নৌকা প্রতিকের প্রার্থী শাহ আলমকে। ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার স্বাক্ষরিত ৪ নং ওয়ার্ড পাতাবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ফলাফল পাল্টে দেয়া হয়। প্রিসাইডিং অফিসার সাক্ষরিত ঐ ফলাফলে দেখা যায় ঐ কেন্দ্র ঐ কেন্দ্রে ধানের শীর্ষ প্রতীক পেয়েছে ৯৭৫ ভোট আর নৌকা প্রাতীক পেয়েছে ৩৬১ ভোট। কিন্তু ঐ কেন্দ্র রিটার্নিং অফিসার কতৃক দেয়া ফলফলে কেন্দ্র ভিত্তিক প্রিসাইডিং অফিসার স্বাক্ষরিত ফলাফল পাল্টে নৌকা প্রতীকে ১০৬৩ ভোট দেখিয়ে ৭৩ ভোটের ব্যাবধানে নৌকার প্রার্থঅ শাহ আলমকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়। প্রিসাইডিং অফিসারে দেয়া ফলাফল পরিবর্তন করে রিটার্নিং অফিসার নৌকার প্রার্থী শাহ আলমকে বিজয়ী করায় ৬ জুন সকল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার স্বাক্ষরিত ফলাফল নিয়ে পূনরায় ফলাফল যাচাইয়ের জন্য প্রিসাইডং অফিসার বরাবর আবেদন করে সামশুল হক বাবুল। তবে সামশুল হক বাবুলের ঐ আবেদন গ্রহন করেনি উপজেলা রিটার্নিং অফিসার।
উচ্চ আদালতে আজ বিষয় সামশুল হক বাবুলের পক্ষে আইনজীতি ব্যারিষ্টার জ্যোতিময় বড়ুয়া ফলাফল পরিবর্তনের বিষয় গুলো তুলে ধরলে আদালত ৫ দিনের মধ্যে ২ প্রার্থীর উপস্থিতিতে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার আদেশ দেন।