সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, জালিয়া পালং ইউনিয়নের নম্বরী পাড়া, ঘাটঘর পাড়া পাইন্যাশিয়া, সোনাইছড়ি, সোনারপাড়া ডেইপাড়া মনখালি, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া, রুমখা পালং, বড়বিল, পাতাবাড়ি,নলবুনিয়া,খেওয়া ছড়ি, বৌ বাজার, কুলাল পাড়া, মনির মার্কেট, পাগলির বিল, রাজা পালং ইউনিয়নের কুতুপালং, মাছকারিয়া, লম্বাশিয়া তুতুরবিল, হিজলিয়া, পিনজির কুল, রত্না পালং ইউনিয়নের সাদৃ কাটা , পশ্চিম রত্না, বড়ুয়াপাড়া, খোন্দকার পাডা, গয়াল মারা ও পালংখালী ইউনিয়নে থাইংখালী, রহমতের বিল, বালুখালী তৈল খোলা, আঞ্জুমান পাড়া ফারিবিল সহ অন্তত ৩৫ টি গ্রামে পানি তলিয়ে গেছে। চারদিকে পানি আর পানি। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেক গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। জনগণের শরম দুর্ভোগ বেড়েছে।
জালিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলম জানান, সমুদ্র উপকূলীয় ডেইল পাড়া,নম্বরি পাড়া ও ঘাটঘর পাড়ায় কয়েকশো পরিবার পানিতে আটকা পড়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের উখিয়া সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ নুর মোহাম্মদ শিকদার জানান ৪ দিন ধরে প্রবল বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে মাটির রাস্তা গুলো লন্ডভন্ড এবং কালভার্ট বিধ্বস্ত হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে।
এছাড়াও অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও পানের বরজ ভেঙ্গে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।
হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী জানান, রুমখা চৌধুরী পাড়া, বউ বাজার, পাগলির বিল, বড়বিল মনি মার্কেট সহ বিভিন্ন এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। সবজি ক্ষেত সহ আমন মৌসুমের বীজতলা পানিতে ভেসে গেছে। স্থানীয় মৎস্য চাষীরা জানান, মৎস্য ঘেরে ও পুকুরে পানি ডুকে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বহু প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভেরিফাই ফেইসবুকে এক জরুরি বার্তায , পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত জনগণকে নিরাপদ স্থানে কিংবা পার্শ্ববর্তী সাইক্লোসেন্টার আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিজাম। উদ্দিন জানান প্রবল পানির স্রোতে অসংখ্য বীজ তলা ও পানের বরজ নষ্ট হয়েছে। গ্রামীন অভ্যন্তরীণ অন্তত ২০ টি কাঁচা রাস্তা ও কালভার্ট বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন ।
হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী তার ভেরিফাই ফেইসবুকে পানিবন্দী হওয়া পরিবারের ছবি পোষ্ট দিয়ে বলেছেন ২০ টি গ্রামের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নেমে এসেছে জনদুর্ভোগ। দুদিন ধরে অনাহারে রয়েছে বানভাসি মানুষ। তিনি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
স্থানীয় নাগরিক সমাজের অভিযোগ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির প্রকল্প নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা সভা সেমিনারের নামে খরচ করলেও বন্যায় পানিবন্ধি মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। এটি খুব দুঃখজনক।
জালিয়া পালং ও পালং খালী ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজন জানান জন প্রতিনিধি কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল মামুন এ প্রসঙ্গে জানান সকল ইউনিয়নের জন প্রতিনিধিদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।