কক্সবাজারের উখিয়ায় আবদুল্লাহ আল মাসুদ (২৩) নামে এক এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিমরত্না ঝাউতলা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি কক্সবাজার জেলার বড় মহেশখালীর ফকিরাঘোনা এলাকার মো. শফির ছেলে এবং রোহিঙ্গা শিবিরে কাজ করা ‘এনআরসি’ এনজিওর শিক্ষা প্রকল্পে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিন অফিস শেষে সন্ধ্যা হলে তার বাসার সামনের লাইট জ্বালিয়ে দিতো এবং বাসার পাশের একটি নলকূপ থেকে পানি নিতে আসতো। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ থাকার পরেও তার বাসার সামনে অন্ধকার থাকলে বাড়ির মালিক তার দরজায় নক ও ডাকার পরেও কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় জানালা দিয়ে উঁকি দিতেই দেখেন একটি ঝুলন্ত রশির নিচে চেয়ারের উপর মাসুদকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন।
“এরপর তিনি ঘটনাটি স্থানীয়দের পাশাপাশি পুলিশকেও খবর দেন।”
মাইকেল নামের এক যুবক জানান, এনজিওর চাকরি এবং আমার বাড়ির সামনে বাসার থাকার সুবাধে মাসুদের সাথে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয়। সে নতুন এই বাসায় উঠেছে তিন/চারমাস হবে। তবে কি কারণে মাসুদ আত্মহত্যা করেছেন তা জানেন না বলে দাবি করেন তিনি।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।